পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M99 Terras হয়ত এই ঘুম এসেছে, কাচা ঘুম ভাঙ্গা চােখ রাগড়াতে রাগড়াতে শ্যামলেশ বলেছে-“বাবা এই যাচ্ছি।” একদিন যেতে একটু দেরী হয়েছিল-দেবেশ তাড়া দিয়ে বল্লে, “বসে আছিস যে ? এখনও ঘাসনি, ”। দ্বিরুক্তি না করে খাম চলে গেন্টু, তাৰ তখন গায়ে জর, রাত্রে হিম লাগিয়ে সেই জ্বর বেড়ে গেল।’ আরতির সময় বাবার কাছে থেকে সে নেচে নেচে গাইত, সে সুর কি মিষ্ট। একদিন শ্যামু। বাগানে পাহারা দিচ্ছিল, এর মধ্যে একটা "গাষ্ঠ ছুটে এসে কতকগুলি ফুলের চারা নষ্ট করে চলে গেল। দেবেশ এসে তাকে গাল মন্দ দিয়ে বলেন, “তুই থাকতে এমন কাগুটা হ’ল ! তুই ঘুমােচ্ছিলি নাকি, তোর কোন দায়িত্ব বােধ নেই।” দেবেশ চলে গেলে শুষ্ঠাম খোড়াতে খোড়াতে খিড়কির দোক দিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় এল, তুলসী দেবী বলেন, “খোড়াচ্ছিস্ কেন ?” বালক ডান হাত দিয়ে চোেখ মুছতে লাগল। মোট কথা, গরুটা বাগানে ঢোকবার সময় সে তাকে তাড়া কুরেছিল, শিশু দেখে গাঠটি শিং দিয়ে তার পায় ঘা দিয়ে তাকে মাটীতে ফেলে দিয়ে বাগানের ফুলের চারা খেয়ে পালিয়ে যায়। শ্যাম পিতার গাল খেয়ে সে কথা বলতে পারে নি । তুলসী তার ছিন্ন কাপড়খানি তালি দিয়ে সেলাই ক’রে দিয়ে“ছন , তাই পরেই সে কত আনন্দিত । উৎসবেব সময় অ্যাব আৰ ছেলেরা কত সুন্দর নূতন কাপড় পরেছে, শুম সেই মায়ের হাতের তালি দেওয়া পুরোনো কাপড় পরে রাস্তায় যেতে কোন লজ্জা বোধ করেনি। যদি দেবেশ তাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, “শ্যাম তোর কি কাপড়-জামার দরকার আছে ?” সে হেসে মিলেছে। “বাবা, আমার আছে।” কতদিন দেবেশ বাগান থেকে পা ও দুখানি মোজার মত দান কাদায় ঢেকে বাড়ী এসেছে। একদিকে তুলসী, অপরদিকে ՏՇԳ