পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্ধ আমালো দুজনে বাড়ী ফিরলেন। শ্যামলেশের ও চােখের ঘুম tােল গেছে। তার সঙ্গে বসে বসে তুলসী তার মনের নানারূপ তাশঙ্কাৰ কথা বলাবলি করতে লাগলেন। পাশের কােন বাড়ীতে কুকুর ডেকে উঠে, আর আমনি কথা থামিয়ে কান পেতে শোনেন ; শেয়াল কি বেড়াল শুকনো পাতাব । উপর পাস খসি শব্দ ক’রে চলে যায়, আর তখনই দোরের কাছে এসে খিল খুলে চারিদিকে চান। নাতিমৃদুস্বরে “বাবা এসেছি” বলে শ্যামলেশ একটু এগিয়ে পথ দেখতে থাকে! একটা বেজে গোল-কেউ এল না । তুলসী বলেন- “শ্যাম, তুষ্ট একবার তোর জ্যাঠা মহাশয়ের বাড়ী মাৰি ?” “তাদের দরোয়ানোবা কি নবজা পুণে, দেবে ? তােমায় ময়লা কাপড়ে সে বাড়ীতে ঢুকতে দেন না, এ ত বাত্ৰে চেচিয়ে মরলেও তারা আমল দেবে না। কাপড় জুতো নে দিন পেকে ফিরিয়ে দিয়েছ, সে দিন গেৰুে জাঠামশায় আমার মুখ দেখলে ঘেন্নায় মুখ ফিরান । তিনি কি আমার কোন পুথি। শোনবেন ? তবে যেতে বলছি, গিয়ে চেষ্টা ক’রে দেখতে পাবি।” তুলসী ভীতি ও ছল ছল চোখে বল্লেন “পাক গিয়ে ক! জ নেই, কিন্তু পাথরে শাবল মারলে যেরূপ *দ হয়, তার বকের ওঠা পড়ার শব্দটা তেমনই বড় হ'ক্সে তার কাণে ঠেকছে, কেন রেন তার মনে তার স্বামীর জন্য একটা ভয় হ’য়েছে, কান!ষ্টব্য বাজি সঙ্গে তা ছেন এই না ভরসা । শ্যাম বলে, “সুন্দবগঞ্জে কানাঈদ দি! গিয়ে যদি “অসুস্থ হ’য়ে পড়েন ও খবর পাঠিয়ে থাকেন। —তবে বাবা চন্দ্র ত চুটে গেছেন, আমাদের ব’লে যাবার সময় পান নি ।” তুলসী একগা অনেকটা সম্ভবপর মনে ক’রে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফোল্লেন, তবে হৃদয়ের উদ্বেগ কিছুতেই কমল না । সেট নীরব রাত্রিকে অতি SoSR