পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NgPC vert আস্তে উদ্বেগ ও আশঙ্কায় মৃদু কথায় যেন ব্যস্ত ক’রে যখন এই দুটি প্ৰাণী নানারূপ ভাবনার আশ্রয় নিতেছিল, এমন সময়-বাতি তখন প্ৰায় দুটাে-সত্যই বাড়ীর কাছে খুব জোরে পাদক্ষেপ শোনা গেল, আশপাশের সকল গুলি কুকুর ডেকে উঠলো ও শব্দটা দেবেশের বাড়ীর খুব নিকটে এল। মাতা ও পুত্র এই অ্যাগস্থক কে, জািনবার জন্য কৌতুহলী হ’য়ে খানিক কথা বন্ধ ক'রে দবাজার কাছে দাড়ালেন। জুতার শব্দ এসে দোরের কাছে থামল- এবং “ মইজি দরজা খোলনে চ’গা চিঠি ঠি "আয়া।” হিন্দুস্থানীর এই আহবান শুনে শ্যামলেশ দরজা খুলে দিল । দরোয়ান কিশোর রায়ের চিঠি নিয়ে এসেছিল । শ্যাম ও তার মা খুব ব্যস্ত হ’য়ে পড়বেন, এই তা শঙ্কায় কিশোর বায়ু বাড়ীতে ফিরে এসেই এই চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে এই লেখা ছিল – “শ্যামলেশ, তোমার বাবা ও কানাই বা বাজি তীৰ্থ দর্শন চলে গেছেন, "তারা তোমাদের ব’লে যাবার অবকাশ পাননুি, শীঘ্ৰ ফুধবার সম্ভাবনা নেই। তোমরা ব্যস্ত হ’য়ে না, দরকাব হ'লে আমায় বলে পঠিও, আমি তোমাদের যা’ কিছু ব্যবস্থার দরকাব কৰিব । কিশোর রায় । দরোয়ান বিদায় হ'য়ে গেল। তুলসী চিঠিখানি হাতে ক'রে বসে বইলেন। তার মাথায় যেন বজাঘাত হ’ল। “তীির্থদর্শন" এ কিরূপ ? এষ্ট আঙ্গিনা যেখানে রাধামাধবী আছেন, তাব কাছে আবার তীর্থ ধোথায় ? এই “নব-বৃন্দাবন” যার ফুল বাধামাধবের অাবতিতে লাগে, পূজার জন্য তোলা হয় -এর চাইতে আবার বড় তীর্থ তার কাছে কোনটি ? তুলসী তার স্বামীকে চিনতেন, ৰুে “ তীর্থেব প্রতি অনুরাণের কথা তো কোনদিন দেবেশ বলেন নি। এই ১৮ আঠার বছরের মধ্যে একটি রাতও তো। তিনি বাড়ী ছাড়া কোথাও থাকেন নি ? তবে কি কানাইবাবাজি SANSO