পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৱেঞ্জিী অনালো “শ্যাম” এবং চোখ বুজে হাত পা ছুড়ে কি দেখাতে লাগল, দুই ঠোঁটের ধার হাতে আঙ্গুল দিয়ে লাল বার ক’রে বুঝোতে চাইল । দুঃখী খানিক বাদে চলে গেল। কানাই বাবাজি যেন কি ভেবে চমকে উঠলেন। তিনি রাত্রিশ দশটার সময় দয়া বুড়ির কুঁড়ে ঘরের পাশে এসে বল্লেন, “জাগছে।” বুড়ি তাড়াতাড়ি পাবাজিকে দেখে গড় কল্পে এবং বলে “এ বড় ভাগিার কথা ! সাধু বাবা, নিজে আমার বাড়ীতে।” বাবাজি বেশী আড়ম্বর না ক'রে বল্লেন, “একটা কথা ঠিক আমায় বলবে, মিথ্যা বলবে না।” “সেকি আমি বোতিলাব গোসাইয়ের শিমা, আমার গুরু। --” এই বলে হাত যোড় ক’বে পাকা চুলে ঠেকিয়ে বল্লে, “আমার গুরু সাধুবাবাকে গুরুর মত মান্য করেন, আমি আপনার কাছে মিথ্যা বললে জিভাত খসে পড়ে ব্দে লে।” বাবাজি একবারে কথাটি পেড়ে জিজ্ঞাসা কল্লেন, “ তুমি কি শুনেছি, রতন কবরেজ বিষ খাইয়ে শ্যামলেশকে মেরেছে ?” সে খানিকটা চুপ ক’রে রইল, তারপর বল্লে, “এ কথা ত এখানে কেউ কেউ বলছে। কিন্তু আমার কাছে শুনলেন এ কথা কাউকে বলবেন না ।” “তা নিশ্চয়ই বলব না, আর তুমি তা আমায় বল নি, আমি অন্য এক জায়গায় শুনেছি। আচ্ছা শ্যামের মা কি এ কথা শুনেছেন ?” “না, তিনি তার মৃত্যুর সময় সেখানে ছিলেন না, প্ৰায় ৭/৮ ঘণ্টা অ্যাগে থেকে আর এক ঘরে দাতি লেগে পড়ে ছিলেন ।” “তুমি বিষ-প্রয়োগের কথা বিশ্বাস করা ?” >しグ*