পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MSPSS vese শাস্ত্ৰে জ্ঞান ও সৌহার্দ্যে দেবেশ বাবু প্ৰীত ছিলেন, তিনি ভাবলেন, “আর কিছু না হ’লেও একটি সঙ্গী পেয়েছি, এই যথেষ্ট।” পরদিন হ’তে দেখা গেল, সামান্য ভাবে জপ সেরে বাবাজি গাছবোনার কাজে লেগে গেছেন। এখন বাবাজির ঘরেই তঁর মালীর কাজের সাজ সরঞ্জাম থাকে। দেবেশ এসে দেখলেন, পূৰ্ব্ব দিককার ঝিলটা থেকে জল তুলে বাবাজি সব ফুলগাছের গোড়ায় দিয়েছেন, খুন্তী দিয়ে গোড়ার মাটি উস্কে দিয়েছেন, শুকনো পাতা, বাসি ফুল বাগনময় একটিও মাই। এতবড় বাগানটার সব জায়গা शन्दरको পরিষ্কার। প্ৰাতঃ-সামীরে ফুলগুলি এ ওর গায় ঢ’লে পড়ে কেবলই পাতায় মুখ আড়াল কবে হাস্ছে, কারণ সুৰ্য্যের কিরণ এসে তাদের জোর করে চুমা খাচ্ছে ; তারা ঘাড় নেড়ে নেড়ে পাতার আড়ালে যাচ্ছে ও কেবলই হাসছে। সুগন্ধে বায়ু ভরপুর, বাবাজির মুখ চোখ আনন্দে ভরপুর। দেবেশেবা যা’ করতে ৭টা হতে ১০টা লাগত, আজ ৭টা মধ্যেই সে কােজ সাবাড়। বাবাজি এমন নিপুণভাবে বাগানের কাজ করেছেন, যে দেবেশ নিজেও তা পারতেন কিনা সন্দেহ। দেবেশ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলেন, একটা কথার কথা বলে তিনি র্যা উড়িয়ে দিচ্ছিলেন-তার ভিতর এইটা চেষ্টা ও কম্মের উদ্যোগ নিহিত ছিল তা তিনি ভাবেন নি। বৃদ্ধকে তিনি কষ্ট দিয়েছেন * এই অনুতাপে তার চোখ ছলছল হ’ল, তিনি বল্লেন, “বাবাজি, আমি এখানে মাথা খুড়ে মরুব, আপনি যদি মজুরের মত হাড় ভাঙ্গা শ্রম আর করবেন! আমার মনে হচ্ছে শেষ রাত থেকে আপনি আর ঘুমোন নি । আপনাকে একটা চোখের ইঙ্গিত দিয়ে বাগানের তত্ত্বাবধান করতে বলেছিলাম,--আপনি একি কাণ্ড করেছেন বলুন দেখি ?” “এ কাজটি কি আমি মজুরের মত করেছি না। যিনি হাত দিয়েছেন এই উপলক্ষে তার সেবা করে নিয়েছি? যদি এই শ্ৰম আমার আরাধনার SNSO