পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\gatsis tartet বিপদে পড়ে এসেছি, আমার ৯ বছরের ছেলেটির কলেরা, আপনাকে এখুনি যেতে হবে।” । “আপনি কোথেকে এসেছেন ও আমার কোথায় যেতে হবে ?” “আমি এসেছি গড়পাড় থেকে-পাচক্রোশ দূরে, কিন্তু আমার ভাল রবার টায়ারের গাড়ী আছে, দু’ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া যেতে পারবে । রাসবিহারী বাবুর কাছে আপনার হাত যশোর কথা শুনেছি, তাদের বাড়ীতে আপনি কলেরা চিকিৎসা ক'রেছেন।” O বাস্তবিক রামপুরবাসী রাসবিহারী দত্তের বাড়ীতে দু’বছর আগে তিনি কলেরার চিকিৎসা ক’রে একটি রোগীকে আরাম করেছিলেন। কবিরাজ বল্লেন,-“তাইত অনেকটা দূর যেতে হবে। --বাত্রিকাল, আপনাদের দেওয়া থোওয়াটা কিরূপ হবে সেটি আগেই জানার দরকার। পূৰ্বেই সকল কথা স্থির হয়ে থাকা ভাল।” “তা হবে, আমরা বিপদে পড়েছি,-- এসময় টাকা পয়সা নিয়ে কোন গোল যোগ হবে না। আজ রাত্রিটা সেই খানেই থাকবেন-১০ ০০ টাকা দেব। ছেলেকে ভাল করতে পারলে আমরা সাধ্যানুসাবে পুরস্কার দেব। তা হ’লে দেরি করবেন না, আমার মানসিক অবস্থা যে কি, তা আপনি বেশ বুঝতে পাচ্ছেন ৷” কবিরাজ তাড়াতাড়ি পেছনের চুল কয়েকগাছা আঁচুড়িয়ে, আবুলীর কাছে মুখ বেঁকিয়ে ঠোঁটের কোণে পানের একটা ময়লা দাগ পড়েছিল, তা” রুমাল দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে ফেলে সাদা কোচানো কাপড় পরে, বেনিয়ান গায় দিয়ে, লক্কাদার চাটী পরে, এক খানি সাদা উড়নী কঁধে ফেলে বাবুটির সঙ্গে বার হ'য়ে গাড়ী" ত উঠলেন । তখন জোছনাটা বেশ ছিল,-কিন্তু আধ ক্রোশ রাস্ত যাবার পরেই শুক্লা সপ্তমীর জোছনার অধিকার ফুরিয়ে গেল। কবিরাজ ব’সে ব’সে SRR\2