পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৱে অসমালো ঝিমুচ্ছেন, এবং তিনু সেকের নিকট প্রাপ্য টাকার স্বদের সাবটা নিয়ে তন্দ্রার অবকাশের মধ্যে নাড়া চাড়া কচ্ছেন। এই সময় গাড়ীখানি একটা গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ল- সেই জঙ্গলের মাঝে সেরা সার আমলের একটা বড় রাস্তা আছে, তা’ , অনেক জায়গায় ভেঙ্গে চুরে গেছে -গাড়ী সেই জায়গা গিয়ে একবার উচুতে উঠে ধপাৎ কবে নীচে পড়তে লাগল। সেই ওঠা-পড়ার শব্দে কবিরাজের ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি জেগে উঠে দেখেন, বাবুটি গাড়ীতে নেই। তখন চীৎকার ক’রে কোচওয়ানকে বল্লেন, “‘বাবু কোথায়?” গাড়োয়ান বলে “বাবু একটু বাইরে গেছেন, এক্ষুণি আসবেন।” বাস্তবিক বাবুট জঙ্গল হ’তে শীঘ্র এসে পড়লেন। তিনি তীর কৃত্রিম গোপ ও দাড়ী ফেলে দিয়েছেন-সিস্কের জামা আর গায়ে নাই। ধুতি ছেড়েছেন, কটিতট একটা ল্যাঙ্গীট পরা আছে, হাতে একখানি লাঠি । তিনি এখন আর বাবু নন-একটি বড় গুণ্ডা, তার সঙ্গে আরও চারজন গুণ্ড এসে চীৎকারকারী কবিরাজের মুখ কাপড়ে বেঁধে ফেন্নে, এবং একজন নাড়ী ধ'রে তঁার নাকে ক্লোরাফারম্ দিয়ে তঁাকে অজ্ঞান কল্পে, চারজনে হােত পা খুব শক্ত ক'রে ধরে ছিল, সুতরাং তিনি নড়তে চড়তে পাল্লেন না । যে ক্লোরাফরম কাচ্ছিল সে যখন দেখলে কবিরাজ অজ্ঞান হ’য়েছে, তখন একটা ডাক্তারি কেজ বার করে ল্যান্সেট দিয়ে তার কাণ দুটি ও নাকের ডগাটি কেটে ক্ষতমূলে ঔষধ লাগিয়ে দিয়ে ভাল করে একটা ব্যাণ্ডেজ বাধলে । তারপর গাড়ীতে তাকে তুলে নিয়ে জঙ্গলের পথ ছেড়ে প্রায় দুই তিন ঘণ্টা পরে পরিচিত সদর রাস্তায় নিয়ে এল, সেখানে ঘড়ী খুলে দেখােল পাঁচটা বেজেছে। তখন কবিরাজের একটু একটু জ্ঞান হচ্ছিল-তাকে রাস্তার একাধারে শুইয়ে রেখে গুণ্ডারা গাড়ীতে উঠল ও গাড়োয়ান গাড়ী ছেড়ে দিল-তারা কোথায় গেল কেউ তা জানলে না। S. Se