পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর ভেতরে যেতে পারে না, এজন্য জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। হৃদয়েশ মুখ উচু করে তাকে দেখে বল্লেন—“তুই বেটা রমেশকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল?” এই বলে সেখানে একটা কঁসাৰু বাটী পড়ে ছিল, তাই ছুড়ে মারলেন। দৈবাৎ সেটা তার চোখে লাগে নি, কিন্তু বাটীটা সনসন ক’রে চােখের কাছ দিয়ে গিয়ে নীচেকার মাৰ্ব্বেলের মেজোতে ঝনাৎ ক’রে পড়ে দু টুকরা হ’য়ে গেল। চীৎকার শুনে অনেকে সেখানে ছুটে এল, তখন হৃদয়েশ একবারে ক্ষেপে গেছেন। কারুকে মারতে যান, কারু। কাছে কেঁদে মিনতি জানান, একটা ছোড়া চাকরের গলা টিপে ধরেছিলেন--মাঝে মাঝে শুrামলেশ ও রমেশ সম্বন্ধে নানারূপ অসংলগ্ন কথা বলেন। ডাক্তারেরা এসে নানারূপ ঔষধ ক’রে কিছুই করতে পারলেন না । তবে গৌড়বিদ্যার নমঃ শূদ্র কবিরাজ এসে যে সকল ঔষধ দিলে-তাতে যেন কয়েকটা দিন রোগী একটু উপশম বোধ কল্লেন-তন্দবস্থায় একদিন তিনি সুমতিদেবীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “রমেশ আমায় ভাল করবার মুখে এনে ছেড়ে গেলো!”—আর একদিন বলেছিলেন, “কানাই ৰাবাজিকে আমি চিনি নাই । তিনি আমাকে গাল দিয়ে ফিরিয়ে দিলেন, কিন্তু দেবেশকে বাগান বিক্রয় করতে উপদেশ দিলেন।” এর পরেই আবার অসংলগ্ন নানা কথা । তেবোলের কালীর বালা, ইউ রায়ের স্পেসিফিক দ্বারা একটু একটু উপকার হ’য়েছিল, কিন্তু শেষে চেষ্টা বিফল হ’ল, তবে রোগীর সেই দুৰ্দান্ত ভাবটা গিয়ে শেষে এই দাড়াল, যে তিনি আর কথা বলতেন না । রমেশের বিশ্রাম প্রকোষ্ঠটায় তার একখানি মূল্যবান জরিপোড়ে ঢাকাই ধুতি ছিল, তিনি সারাদিন সেই ধুতিখানি কোলে ক’রে বসে থাকতেন, কখনও কখনও সাবান দিয়ে ধুতিখানি খুব যন্ত্রের সহিত কোচে ঘরের SSRb