পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( \SS, ) " কিশোর রায়ের পিতা রাজীব রায় সরকার হ’তে “বাজা” উপাধি: পেয়েছিলেন। রাজা রাজীব-রায়ের যখন সাত বছর বয়স, তখন পিতৃহারা হন। সেই সময়ে যিনি দেওয়ান ছিলেন, তিনি রাজীব রায়ের লেখাপড়ার নামমাত্র ব্যবস্থা ক’রেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, রাজীব যদি মূখী হ’য়ে থাকেন, তবে প্রকাণ্ড জমিদারীটা তিনি চিরকালই শাসন ও ভোগ করতে পারবেন। রাজীব যখন যৌবনে পদাৰ্পণ করেন, তখন তার ভোগ-বিলাসের নানারূপ ব্যবস্থা করে দিয়ে দেওয়ানজি বেশ নিশ্চিন্ত ছিলেন। সেই সকল যৌবনের প্রলোভনের মধ্যে পড়ে রাজীব তার ষ্টেট সম্বন্ধে চিরকালই অজ্ঞ রয়ে যাবেন-এ সম্বন্ধে দেওয়ানজির সংশয়-মাত্র ছিল না । কিন্তু একজনের মাথা খেতে গেলেই "ধে অবিরোধে সেটি সৰ্ব্বদা সম্ভবপর হয় তা’ নয় । ভগবান তার জীবগুলির উপর মাঝে মাঝে মুখ তুলে চান। এবং দুষ্ট লোকে ও পরের রুটি প্রায় ঠোঁটের কাছে আনতে পারলেও তা” আবার সময় সময় পড়ে যেতেও q९ १ ॥ কুড়ি বাইশ বছর নানারূপ ভোগ-বিলাসে কাটিয়ে সহসা রাজীব রায়ের সুবুদ্ধি হ’ল। ষ্টেটের একজন কৰ্ম্মচারী তাকে দেওয়ানজীর প্রজা-নিপীড়ন, অর্থ-শোষণ ও তার লেখাপড়ার অন্তরায় হওয়া ংক্রান্ত সকল বিষয় ভাল ক’রে বুঝিয়ে দিলেন। যিনি মদে ভাঙ্গে চোখ লাল ক’রে বসে থাকতেন, হঠাৎ তিনি নেশা ছেড়ে দিলেন। নিজে চেষ্টা ক’রে বাঙ্গলাটি বেশ ভাল ক’রে SRNSCo