পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ ਟ5 শিখলেন এবং কয়েকজন কৰ্ম্মচারীর দ্বারা গোপনে ষ্টেট সম্বন্ধে সমস্ত বিষয় অবগত হ’লেন । তারপর হঠাৎ একদিন দেওয়ানজিকে কাৰ্য্য ত'তে জবাব দিয়ে শাসনভার নিজে গ্ৰহণ করলেন। তিনি প্রখর বুদ্ধি-সম্পন্ন ছিলেন, সুতরাং জমিদারী কাৰ্য্য অতি বিচক্ষণতার সহিত সম্পাদন করতে লাগলেন। শিক্ষার উন্নতি কল্পে তিনি অনেক টাকা সরকারে দিয়েছিলেন। ত্ৰিশ বছর বয়সে তিনি ‘রাজা' । উপাধিতে ভূষিত হন। এই সময় তঁর পত্নী কমলাদ বা একটি মাত্র পুত্র রেখে স্বৰ্গারোহণ করেন। রাজীব রায় আর বিবাহ করেন নাই । রাজার মনে একটি দুঃখ ছিল, তিনি ইংরেজী শিখাবার সুযোগ পান নাই। এজন্য ছেলের লেখাপড়া সম্বন্ধে তিনি বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন । কিশোর বাদ অল্প বয়সে প্রেসিডেন্সী কলেজ হতে এম, এ পরীক্ষায় প্রথম হ’য়ে স্বর্ণ পদক লাভ করেন । এই সময় নওয়াপাড়া গ্রামের প্রসিদ্ধ স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিত ভারত তকরন্থের কন্যা জ্ঞানদায়িনী দেবীর সঙ্গে রাজা বুহাদুর পুত্রের বিবাহ কাৰ্য সম্পন্ন করেন। জ্ঞানদায়িনী দেবীর দশ বৎসর বয়সে বিবাহ হয় । রাজাবাহাদুর র্তাকে নানারূপ সঙ্গীত বিদ্যা-বিশেষ কীৰ্ত্তন গান শিক্ষা দেন । ইংরেজী বাঙ্গলা ও সংস্কৃতে ও তার সাধারণ মত শিক্ষা লাভ হ’য়েছিল। জ্ঞানদায়িনী অত্যন্ত রূপবতী ছিলেন । তিনি যখন বীণা বাজাতেন তখন তাকে বীণাপাণির মত দেখাত ; তিনি যখন ঝাপিট হাতে ক’রে এ ঘর ছ’তে ও ঘরে যেতেন, তখন ঠিক লক্ষ্মী ঠাকরুণের শ্ৰী তার গায়ে খেলত ; যখন রাজাবাহাদুরকে সোনার রোকাবে জলখাবার এনে দিতেন-তখন মনে ক’ত যেন সাক্ষাৎ ভগবতী । কিশোর রায় পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত—তিনি তখনও তার স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর নেন নি। যে বছর এম, এ পরীক্ষায় স্বৰ্ণ পদক লাভ SRNoN