পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারের মালে। করলেন, সেই বছরই তার পিতৃবিয়োগ হ'ল। কিশোর রায়ের স্বাস্থ্য খুব ভাল ছিল না, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে হাওয়া পরিবর্তনের জন্য ওয়ালটার, ডিহিরি অন সোন, মধুপুর এবং রাচী প্রভৃতি স্থানে ঘুরতে লাগলেন । পিতৃবিয়োগে কিশোর রায় প্ৰায় ছয় মাস কাল অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই দুঃখের সময়ে হঠাৎ জ্ঞানদা তার মনে এক অপূৰ্ব্ব আনন্দ नित्र ५dया । নিৰ্জন প্রবাসে সারাদিনই স্বামী স্ত্রী একত্র থাকতেন । কিশোর পত্নীর কুঞ্চিত কালো চুল গুলি নিয়ে নাড়া চাড়া করতেন, সেগুলি দীর্ঘ ও সুগন্ধ ; তঁর মনে হ’ত এমন হালকা, এমন কোমল চুলের সম্পদ তিনি কখনও দেখেন নি। জ্ঞানদা যখন ভুরু টেনে কৌতুক ক’রে কথা কইত, তখন মনে হত এমন সুন্দর ছুরুর ভঙ্গী তিনি কোথাও দেখেন নি । কিশোরের কাছে প্ৰথম প্ৰথম জ্ঞানদায়িনী গান করতে লজ্জা বোধ করতেন। স্বামীর বহু বিনয়ে শোনে তিনি অনেকটা লজ্জা সংবরণ করে গাইতেন । ঠিক ফুলের কুঁড়িটি যেমন করে ফোটে, তেমনই ক’রে তার মিষ্ট স্বর আস্তে আস্তে ফুটুতো । তঁর মুখের প্রথম গান যেটি কিশোর রায় শুনলেন, সেটি রবিবাবুর সেই পরিচিত।-- “তোমারি রাগিণী জীবন কুঞ্জে বাজে যেন সদা বাজে গো তোমারি আসন হৃদয়-পদ্মে রাজে যেন সদা রাজে গো তব নন্দন-গন্ধ মোদিত হেরি সুন্দর ভুবনে उत्र छत्र°-८बभूभांश् िव्न ५ उठू সাজে যেন সদা সাজে গো ।” কি সুন্দর সুর ! কিশোর ছবির মত চুপটি হয়ে শুনলেন, পিয়াণোর SX\e:S2.