পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরের সঙ্গে তঁর সুরা যেন মিশে গেল। গানটি শেষ হ’লেও তঁরা ঝঙ্কার মনের বীণার তারে অনেকক্ষণ ধরে বাজাতে লাগল। কিশোর সেই দিন জ্ঞানদাকে একটি কীৰ্ত্তন গাইতে অনুরোধ করলেন-জ্ঞানদা একটা হাসির চাউনিতে স্বামীকে ‘মুগ্ধ ক'রে তঁার অনুরোধ রক্ষা করে গাইলেন-“মন্দ মুরলী রব কোন সুরেন্দ্ৰ হ’রে নিল ।” “মন্দ মুরলী রব” কথাটি যে তঁর মুখ হ’তে কি মিষ্ট শুনলে--তা’ আর কি বলব! কিশোরের দিকে দুটি ডাগর চােখ যেন সজল ক’রে গায়িক গাইলেন-“বাঁশী কোথা বাজে আর কেবা শোনে--আমার নামে সাধা বঁাশী” সেই সজল দুটি কৃষ্ণ চোখের চাউনিই মিষ্ট, না। কণ্ঠস্বর মিষ্ট ? কান দিয়ে শুনবেন—কি চােখ দিয়ে দেখবেন, কিশোর যেন গোলকধাঁধায় পড়ে যেতেন । বঁাশী এখন বৃন্দাবনে বাজে না।--সেই মিষ্ট সুর এখন কোন অজানা রাজ্যে বাজছে। ধুে শোনে সে কি আমার মত প্রাণ দিয়ে তা শুনছে, সেই সুর শুনে সে কি কুল শীল ছেড়েছে ? গানের ইঙ্গিতে এই অর্থ অতি স্পষ্ট কবে জ্ঞানদা গাইলেন ;- নন্দকুল চন্দ্ৰম কোন গগনে উদয় হ’ল । মন্দ মুরলী রব কোন সুরেন্দ্ৰ হ’রে নিল। বঁাশী কোথা বাজে, আর কেবা শোনে ৷” সমস্ত গানটি গাওয়ার সময় জ্ঞানদায়িনী কতবার স্বামীর প্রতি লজ্জানত চাউনি দিলেন, কতবার তার ওষ্ঠে চাপা হাসি ফুটে উঠল। " সেই গান ও ভাবুকতায় কিশোরের মন একবারে ভুলে গেল। তার গ পর গান সমাপ্তি ক’রে যখন তিনি স্বামীর কণ্ঠ-লগ্ন হ’য়ে তার দিকে SANSONS