পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুধু গরীবকে খাইয়ে সাধু ক্ষান্ত রইলেন না, তিনি অকাতরে অভাবগ্ৰস্ত লোকদের অর্থ সাহায্য ক’বৃতে লাগলেন। একদিন দুপুর বেলা কিশোর রায় বিজর হয়েছেন। তিনি সাধুর কথা এত শুনেছেন যে সেদিন তাকে দেখতে নিজে চলে গেলেন – গিয়ে দেখলেন খ্যামবৰ্ণ প্রৌঢ় বয়স্ক সাধু অতি দীন ভাবে বসেছেন, মোটা ময়লা একখানি ধুতি পরা-নিজের কোন আসবাব নাই, একটা সতরঞ্চির উপর ব’সে আছেন, তার তলা হাতাড়িয়ে যা” পাচ্ছেন, ত’ বিলিয়ে দিচ্ছেন। কারু ভাগ্যে একখানি গিনি জুট্ৰছে, কেউ একটা আধুলি পাচ্ছে। কিশোর রায় সেই দান-প্রার্থীদের সঙ্গে এক কোণে বস্লেন। সাধু তার দিকে চেয়ে বল্লেন-“আপনার পীড়াটা বডড খারাপ হ’য়েছে দেখছি।” কিশোর রায়ের চেহারা দেখে, এটি যে সে আবিষ্কার ক’রতে পারত, সুতরাং সাধুর এ কথা শুনে কিশোর আশ্চৰ্য্য হ’লেন না। অনেকক্ষণ র্তার অজস্র দান দেখে বিস্মিত হ’য়ে কিশোর রায় সাধুকে বলেন, “বাবা আপনি খুব মস্ত সাধু, কোন সাধুকে এ ভাবে টাকা বিলুতে আমি দেখি নাই ।” সাধু বল্লেন, “পীপড়ার জন্য কণা পরিমিত এবং হাতীব জন্য মণপরিমিত থাদ্য র্তার ভাণ্ডারে আছে, এই দানে গৌরব করবার আমার কিছুই নেই ; বিশেষ এ টাকা আমার নয়, আমি ফকির।” “এ কার টাকা ?” “এ মঠের টাকা, এই টাকা দীন দুঃখীদের বিলোবার জন্য আমি মঠ। হ’তে নিযুক্ত হ’য়েছি।” এর মধ্যে এক বৈষ্ণব এল, তার ধবধবে সাদা ধুতি কেঁচােন, সাদা ধবধবে উত্তরীয়টি কেঁচােন, কঁধে ঝুলছে-রংটা সাদা ধবধবে। সাদা ধবধবে চন্দনের তিলক অতি সন্তৰ্পণে অতি যত্নে, নাকে ও কপালে আঁকা SNCCA