পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( e ) অজ্ঞানদারিনীর পিতার মৃত্যুর পর সে বাড়ীতে অভিভাবক কেউ ছিল না। তার মা প্ৰাণদা দেবীর বুদ্ধি খুব প্রখর ছিল না। তিনি পাড়ার ৰত ছেলেকে ডেকে এনে জ্ঞানদা দেবীর পিয়ানো বাজানো হ’তে সুরু ক'রে কীৰ্ত্তন গান পৰ্যন্ত সকলই শুনিয়ে দিতেন। ষোড়শবর্ষীয়া কন্যাকে তিনি এখনও সেই খুকিট ব’লে মনে করতেন, এবং পাড়ার ছেলেরা, যাদের গোপ বেশ শিখি পুচ্ছের আকারে অগ্রভাগ কেঁকড়ান হ’য়ে গোল হ’য়ে উঠেছে, কিম্বা দাড়ী ফ্রেঞ্চ ধরণে সুক্ষ্মাগ্ৰ হ’য়ে পাখীর ছোট কালো চষ্ণুটির মত দেখাচ্ছে—এ সকল যুবক তীব্র চক্ষে শিশু। এরা তো সেদিনও র্তার উঠোনে হামাগুড়ি দিয়েছে। এদের সামনে তার খুকি। গান গাবে, এতে কি লজ্জার বিষয় হ’তে পারে ? সেই সকল যুবপুরুষের মায়েরা উপস্থিত থাকতেন—তাদের কাছে ছেলেরা “ খোক-সুতরাং তারাও প্রাণদা দেবীর কথাগুলি অতি ঠিক ব’লে মনে করতেন! প্রথম প্রথম জ্ঞানদা দেবী একবারে বিগড়িয়ে গিয়াছিলেন-তাদের কাছে পিয়ানো বাজানো, গান গাওয়া ত’ দুরের কথা, ছেলেবেলার পরিচয় থাকা সত্ত্বেও তিনি তাদের সামনে বার হ’তেও দ্বিধা বোধ ক’বৃতেন। যিনি প্ৰথম প্ৰথম নিজের স্বামীর কাছেই গাইতে চাইতেন না—তিনি সহজে অপরের কাছে তার সঙ্গীত বিস্তার চর্চা ক’বৃতে কিছুতেই সম্মত হন নাই ! কিন্তু নদীর পাড়ের ভঙ্গুনির মত স্ত্রীলোকের লজ্জাশীলতা একবার ভাঙ্গলে কোথায় গিয়ে থামবে, তা কেউ ব’লতে পারে না। জ্ঞানদায়িনীর রূপ যুবকদলের লক্ষ্যের বিষয় হ’য়ে দাঁড়াল-জগতে রূপসীর অতি কঠোর SR3No