পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 38 ) পরদিন কিশোর রায় শয্যা হ’তে উঠে বাইরে এলেন। ভৃত্য গঙ্গারাম তাকে দেখে আঁৎকে উঠল, একরাত্রে সেন নবীন যুবক বুড় হ’য়ে পড়েছেন। ঝড়ে পত্র-পল্লব-শাখাচুৰ্যত হ’লে শান্মলী তরুটি যেমন দেখায়—এই মূৰ্ত্তি সেইরূপ। al তিনি সারা রাত্রি একটি মিনিটও ঘুমোন নি। জ্ঞানদায়িনীর উপর যতই রাগ বাড়তে লাগল, ততই ভেতরে ভেতরে একটা কোমলতা যেন জেগে উঠল। তাকে ছাড়া যে একটি দিনও থাকতে পারব না, তাকে কঠোর শাসন করতে যে প্ৰাণে উৎসাহ পাই না, সে যে আমার একান্ত আপনার জন, এই ভাবতে চােখে জল এল । * প্রায় দুই ঘণ্টা কাল আবার চক্ষু দিয়ে ঝরঝরু ক’বে জল পড়তে লাগল। তিনি দ্বার রুদ্ধ ক’রে বসেছিলেন ; কাগজপত্র দেখাতে ও র্তার স্বাক্ষর নিতে তিনবার দেওয়ানজি ঘুরে গেলেন ; তিনি দরজা খুল্লেন না, অশ্রুবিক্লাব কণ্ঠে শেষবার বল্পেন—“দেওয়ানজি মশায়, আমার বডড অসুখ ক’রেছে আজ ছুটি দিন ।” “ডাক্তার ডাকতে পাঠাব।” “এখন নয়, দরকার হ’লে ব’লে পাঠাব।” এই উত্তর শুনে দেওয়ানজী ধীরে ধীরে চলে গেলেন । বহুক্ষণ চােখের জল পড়াতে মনের ভার একটু লঘু হ’ল। তিনি দেরাজ থেকে একখানি কাগজ টিনে এনে লিখতে সুরু ক'রে দিলেন, “জ্ঞানদাকে ছাড়বে, না রাখব?” এ সম্বন্ধে অনুকূল ও প্রতিকুল যত যুক্তি হ’তে পারে তা সেই কাগজের মধ্যে সোজাসুজি একটা রেখা SRan