পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 80 ) এই ভেবে তিনি শয়ন প্ৰকোষ্ঠে গিয়ে দেখেন, তা তীব দাঁতের খাটের মশারি খাটাবার সিংহ-মুখ একটা দণ্ড ধ'রে মানমুখে জ্ঞানদায়িনী দাঁড়িয়ে আছেন, তাকে আসতে দেখে চােখে অচিল চেপে কঁদিতে লাগলেন। কিশোর য়ায় তাকে আদর করলেন না,-দুরে দাড়িয়ে বল্লেন “জ্ঞানদা তুমি ভাল হ’তে পারবে ?” জ্ঞানদা কিছু বল্লেন না, শুধুই কঁদতে লাগলেন। কিশোর পুনবায় সেই প্রশ্ন করলেন,-জ্ঞানদা। এবারও কিছু না বলে চোখের জল মুছতে লাগিলেন। তঁর স্বামী বিরক্ত হ’য়ে বল্লেন-“যাক, কপাল ভাঙ্গলে জোড়া লাগে না-আমার জীবনে আর সুখের আশা রাখি না, তুমি নওরাপাড়া যাবে ?” এই প্রশ্নে বিস্ময়ের ভাবে জ্ঞানদা সজল চক্ষে কিশোম রায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিশোর রায় বলে যেতে লাগলেন—“তুমি আমি পরস্পরের দ্বারা ; আর সুখী হ’তে পারব না -একত্র থাকলে নানারূপ অশান্তি হ’বে --তার চাইতে দূরে থাকাই শ্রেয়, সুখের থেকে সোয়ন্তি ভাল । আমি তোমায় নওয়া পাড়ায় পাঠাতে চাই-যাবে?” এবার জ্ঞানদা অশ্র-কম্পিত কণ্ঠে মৃদুস্বরে বল্লেন “যাব।” কিশোর রায় মনে করেছিলেন এই চুড়ান্ত শাস্তির কথা শুনলে জ্ঞানদা বিমূঢ় ও স্তব্ধ হয়ে পড়বে, কিন্তু তঁার এ সময়েও পিয়ালয়ে যাবার ইচ্ছা! দেখে কোন কালে যে তিনি আর স্বামীকে ভালবাসবেন সে আশা মনের থেকে দূৱ হ’ল। আর কিছু মাত্র বিলম্ব না ক’রে তিনি ঘর হতে বাইরে গিয়ে দেওয়ানজিকে ডেকে এনে বলেন-“ইনি নওয়া SRCEN-P