পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাড়া যাবেন, আপনি এর যাবার বন্দোবস্ত ক’রে নি, সেখানে যে সকল চাকর ও দাসী যাবে-ত ঠিক করুন, এবং বাসিক টাকার ব্যবস্থা ক’রে রাখুন,-এবার হয় তা একটু দীর্ঘকাল তাকে তথায় शारकgऊ ठू'gन् ।” দেওয়ানজি বুঝতে পারলেন না, রাণীমা সে দিন মাত্র পিত্ৰালয় হ’তে এসে আবার দীর্ঘকালের জন্য তথায় যাচ্ছেন কেন ? হয় ত এর মা বৃদ্ধ হয়েছেন, অসুখ ট্যসুখের খবর এসে থাকবে। এই সিদ্ধান্ত ক'রে তঁর পিত্ৰালয়ে যাত্রার উদ্যোগ করতে লেগে গেলেন। “মনের ব্যথা দূর করবার উপায় কি ?” কিশোর রায় ভগবানকে ডেকে কঁদতে লাগলেন আর প্রার্থনা কল্লেন, “আমি মনকে কিছুতেই বুঝোতে পাচ্ছি না-আমার মনকে শান্ত কর, আমার এ অসহ্যু কষ্ট দূর কর।” অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত বিনিদ্র চক্ষে রাত কাটিয়ে প্ৰাতে এই প্রার্থনা ভগবৎ সকাশে জ্ঞাপন করেন। একদিন মনে হ’ল কোন একটা বড় ও ভাল কাজের মধ্যে থাকলে মনটা জ্ঞানদার চিন্তা হ’তে মুক্ত হ’তে পারবে । দেওয়ানজিকে বন্নেন—“আপনি আমাদের ষ্টিমালঞ্চ খানি প্ৰস্তুত থাকতে বলুন, আমি আন্তই আমাদের জমিদারীর কাচারি গুলি দেখতে যাব-সৰ্ব্বাপেক্ষা দূর কোন জায়গাটা বলুন দেখি।” দেওয়ান শু্যামসুন্দর ঘোষ বল্লেন-“সিলেটে হবিগঞ্জে হচ্ছে পূর্ব সীমানায়, ময়মনসিংহ কেন্দুয়া নামক গ্রাম আর একটা সীমানা-এ দিকে মগড়া ও সুন্দরবন ও কতকটা দুর,-অবশ্য সিলেট ময়মনসিংহের মত দূর নয়, এদিকে বীরভূম, শাকুলীপুর, ও উত্তরে জলপাইগুড়িতেও অনেক তালুক আছে। মগড়ার প্রজারা বিদ্রোহী হয়েছেনায়েব লিখেছেন, তঁাকে তারা কখন খুন করে ঠিক নেই। সুতরাং SRO3