পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হানিফ সেখের বাড়ীতে আজ বিস্তর জনতা। জমিদার বিদ্রোহ দমন করতে এসেছেন, সুতরাং সেপাই-পাইক বিস্তর সঙ্গে এসেছে, গুলিও চালাতে পারে । আকবর খাঁ , বল্লে, “আমাদের একশ সড়কী আছে। হানিফ, সেকের বন্দুক আছে, তরিপউল্লার ছেলে রহিম উল্লাও এবার বৃন্দুকের লাইসিনি পেয়েছে, খোদার মার্জি হ’লে আমাদের হটতে হবে না। তা’ যা হবে,--“আমরা জানা দেব,- ইজ্জতই যদি না থাকে। তবে জান নিয়ে দরকার কি ?” এর মধ্যে করিম সেখ। খুব মৰ্দ্দানি ক’রে পালোয়ানদের মত এক বাহুতে অপর বাহু দিয়ে চটপট থাপড় দিয়ে একটা শাল গাছের মত দাঁড়াল, ও তার বিক্রম দেখে প্ৰায় দুইশ মুসলমানের প্রাণ উত্তেজনায় যেন আড়াই হাত উচু হ’য়ে উঠল, তারা ‘আল্লাহু' বলে চীৎকার করছে লাগল। এমন সময় একজন বলে, “দেখ দেখি পূবদিকে কে আসছে, একজন বাবু নয় ?” সকলে দেখলে একটি সোম্যাকান্তি গৌৰবৰ্ণ যুবক—বেশ ভূষা সাধারণ, তাতে একখানি অতি হাল্কা বেতের ছড়ি, তার অগ্রভাগে একটি হীরার চোখ-ওয়াল সোনার কুকুরমুখ,-ধীর পাদক্ষেপে হানিফের বাড়ীর দিকে আসছেন। তারা বলাবলি করতে লািগল যে হয়ত ইনি পুলিসের ঈনে^ে:র বাবু, নয়ত জমিদারের কোন নায়েব। করিম থা বলে, “পুলিস হ’লে তার পেছন পেছন খাতা নিয়ে লাল পাগড়ীওয়ালা কনেষ্টবল থাকতই ৷” এই সময়ে তিনি তাদের মাঝে এসে দাড়িয়ে বািল্লন, “আমি কে জান ? আমি তোমাদের জমিদার কিশোর রায়।” তারা বিশ্বাস করতে পারলে না । রাজা আৰু ধে পথ দিয়ে যান, তার জুই দিকে তুরুপ-সোয়ার সারবন্দী হ’য়ে সাথে সাথে যায় - তাদের একহাতে নিশান, একহাতে সড়কী ও কোমরে তলোয়ার ও বন্দুক, hA AMPAA