পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন সেই জনতার মধ্যে জানু পেতে বসে “यक शङ ठिन्न अबिख চোপ্ত মুছতে মুছতে হানিফ খাঁ রাজা বাবুকে তাদের অভিযোগ জানালে। নায়েব যে তাদের উপর কত জুলুম ও অত্যাচার করেছে, তার ইতিহাস দিলে--তারা খাজনা দিলে খাতায় উসুল দেয়না, হাজার তাগাদায়ও দাখিলা দেয় না, দুমাস যেতে না যেতে সেই সময়ের জন্য আবার খাজনা আদায় করলে পাইক পাঠায় । এই ভাবে একই খাজনা দুইবার তিনবার আদায় করে, না দিলে কাছারি বাড়ীতে নিয়ে আটক ক’রে রাখে, পাইক দিয়ে পেছন-মোড়া ক’রে বেধে পিঠে লাথি মারে, মুখে থুতু দেয়। পুলিসকে জানিয়ে কোন ফল হয় না। পুলিসের বাবুৱা প্ৰায় কাছারি বাড়ীতে আসে, খুব মদ, মাংসের ঘটা চলে। “আমরা নালিস করত গেলে পুলিস উল্টো আমাদেব তাজতে নিয়ে ফেলে। সে দিন রহিম সেখের ছেলেটাকে নিয়ে কাছাৰ্বি বাড়তে আট কে রাখলে । তার দোয্যের মধ্যে এই যে নায়েবের পাইক বিক্রিমের দাড়ি ধ'রে টানছিল, দেখে ছেলেটা সহ্য করতে না পেরে পাইকাঁটার মুখে একটা চড় মেরেছিল, ছেলেটার বুকে পিটে এমনই প্রহার ক’রে, যে ৪৫ দিন পরে সে মুখ দিয়ে রক্ত উঠে। মরে গেল, আহা ২৪ বছরের ছেলে গো, গায়ে অসুরের জোর ছিল, দুটো ইলিস মাছ ও আউস ধানের তিনপো চেলের ভাত সে একেবারে খেত। নায়েব হুকুম দিয়ে কত বাড়ী যে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিয়েছে, তা আর কি বলব! ঐ পশ্চিম দিকে একটু দূরে যে শুধু উঠোনটা পড়ে রয়েছে, সেখানে একটা গৰীব বুড়ি থাকতো, তার খড়ো ঘরখানি জালিয়ে দেছে-এখনও বোধ হয়। সেখানে পোড়া ছাই দেখতে ‘

  • °&ङ्गं या ”

কিশোর রায় স্তব্ধ হয়ে দাড়ালেন। তিনি ভাবলেন তার মুখের দিকে চেয়ে কত লোক আছে, তঁর অমনোযোগে কত লোক কষ্ট পাচ্ছে ।