পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ge vete দেখেই যে এতকাল আমি বুঝেছি। এখন তুই দশটা মিথো কথা বলে অপরকে ভুলুতে পারুবি, দিদিমা তাতে ভুলবে না। বউএর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে ? তাকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে মনে বড় দুঃখ হ’য়েছে, আনতে পাঠাব ? তোর যদি লজ্জা হয়। আমি নিজে গিয়ে নিয়ে আসি।” কিশোর রায় দিদিমার স্নেহমধুৰ কথা শুনে হৃদয়া বেগ সামলাতে পারলেন না,কেঁদে ফেল্পেন। তার কান্না দেখে দিদিমা ও কঁদিতে লাগলেন, এবং বল্লেন, “বউ বাপের বাড়ী গেছে—আসবে, তার জন্য এত দুঃখ কিরে বোকা ? ” কিশোরের কান্না থামে না । দিদিমার হাত দুখানি বৃকের মধ্যে চেপে ধ'রে সে কি কান্না ! দিদিমা চমকে উঠলেন, তিনি বুঝলেন, সহজ দুঃখে৷ তার নাতির এমন কষ্ট হয় নি। তিনি বল্লেন, “আর একটা বিয়ে করবি পাগলা ! বঁড়শের সাবর্ণ চৌধুরীদের একটি মেয়ে সেদিন দেখে এসেছি, সাগরে স্নান করবার জন্য তার মা বাবা গিয়েছিলেন, সঙ্গে মেয়েটি ছিল। তার কি চমৎকার হাত পায়ের গড়ন, মুখের শ্ৰী ! রংটি যৌন পদ্ম ফুল ফুটে আছে, বিয়ে ক'ব্ৰবি ? জমিদারের ছেলেরা তো মাঝে মাঝে দু'টাে তিনটে ও বিয়ে ক’রে থাকে। তাতে কি জ্ঞানদা চ’টে যাবেন ? চাটনত নূতন নৌ গিয়ে তার পায়ে জবাকুসুম তেল মাখাবে, কতকক্ষণ আর রেগে থাকতে পারবেন ?” । কিশোর আশ্রমুখে একটু স্নান হাসি এনে বল্লেন “দিদিমা যে কি ছাই মাথা মুণ্ডু বলেন, তার ঠিকানা নেই।” দিদিমা নিজের চােখের জল মুছে বলেন, “সত্যি বলছিরে পাগলা, মেয়েট দেখে আমার বড় মনে ধরেছিল। তার মা দ্বল্লেন “ভরত তর্করক্সের অদৃষ্ট দেখ, কেমন বিস্কার বৃহস্পতি-রাজা-জামাই পেয়েছে, আমাদের বরাতে এ মেয়ে যে কোন ঘরে পড়বে, তার ঠিক কি ? আমি Qy පෘථුණ