পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( C ) একদিন একটি অন্ধ স্ত্রীলোকের হাত ধ’রে একটী নেংটি পরা ৬ বছরের ছেলে “নববৃন্দাবনে”র পথ দিয়ে যাচ্ছিল। দেবেশ বাবু হঠাৎ এসে বাঘের মত গর্জন কৰূতে করতে খপ করে ছেলেটার হাত বজমুষ্টিতে ধ’রে তাকে হিড়ী হিড়া করে টেনে নিয়ে চল্লেন। অন্ধ রমণী সকাতরে বলে, “ওকে মেরিনা, বাবা, ও চুরি করেনি, বাবাজি ওকে ওটা নিজে দিয়াছেন।” দেবেশ-“সে হ’তেই পারেনা,বাবাজির মা বাবা ঐ ঘাঁটিতে জল খেতেন, বাবাজি আমায় কতবার বলেছেন-তিনি সব ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু ঘটটার মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেন নি-সেই ঘাট তিনি ভিখারী ছেলেকে দেবেন, এ হতেই পারেন ।” সেই ছেলেটির হাতে একটা অতি পুরনো ঘটি ছিল, সেটি পুরীর নিৰ্ম্মিত । পুরীর নিপুণ শিল্পী সেই ঘটটার উপর কত সুন্দর ফুল-লতা একেछिव, ङात कानाङ्ग কেমনসুন্দর্বণ ফুল ওয়াল পাড় খুলেছিল, তা’ৰ্কালৈ অস্পষ্ট হয়ে গেছে,তথাপি দেীবন :৩ে রূপসীর রূপের ন্যায় ঘটিটার একটা শ্ৰী ছিল ; বিশেষ বাবাজির হাতে রোজ পরিষ্কার হওয়াতে পিতলের বর্ণে সোনা স্ফলিয়ে উঠেছিল— বাবাজি প্রতিটি লতা প্রতিটি পল্লব ও ফুল অতি নিপু ভাবে রোজ সাফ ক’রতেন-যেন ঘষতে ঘষতে ক্ষয় না পায়, অথt ঝক ঝকে পরিস্কার স্থায় । “এটা নিশ্চয়ই হতভাগা ছেলাটা চুরি করেছে। এই মনে করে দেবেশ বাবু তাকে বাবাজির কাছে নিয়ে এলেন। দু' হ'তে ছেলেট সহ দেবেশকে আসতে দেখে ধাবাজি বল্লেন, “༦f ཅ་ ‘ওকে দিয়েছি, দেবেশ বাবু । ওর মায়ের কাছে আবদার করে বলছিল৷ ” NRO