পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাট্টা ক'রে বল্লম, “কেন দশরথ থেকে সুরু ক’রে ত্রিপুরার বাজা পৰ্যন্ত সকলেই তো বহু বিয়ে করেছেন। আমাদের ছেলে একটা বিয়ে করেছে। ব’লে কি আর একটা করতে পারে না ? তোমরা দেবে ?” মেয়ের মা বল্লেন “এই তীর্থস্থানে দাড়িয়ে বলছি, যদি তোমরা নেও স্বত্র বে দেব ।” মেয়ের বাপ বল্লেন “এমন সোণার ছেলে "যদি দুইটে বিয়ে করতে চায়, সেত আর একটাকে গলাটিপে মারবার জন্য নয়।” এমন বাজার ঘরে সতীন পেলেও মেয়েটাের ভাগ্যির সীমা থাকে না । তাসতে হাসতে এ কথা হ’ল। তুই মনে কি দাগ পেয়েছিস আমায় খুলে বল।, আমি উপোস ক’রে মরব, যদি তুই মনের ভাব গোপন ক’রে গুমরে মরবি ও শুকিয়ে একটা খড় কুটোর মত বাতাসে হেলে পড়বি।” এই বলে দিদিমা নাতির হাত দুখানি চেপে মিনতি ক’র্বে তার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন । কিশোর রায় বলেন, “ঘে কোন দাগাই পেয়ে থাকিনা কেন, তোমার শোনাবার দরকার নাই, তবে এইটুকু জেনে রেখ, দশরথ রাজা এমন কি বাড়ীর কাছে ত্রিপুরার রাজার দৃষ্টান্তু দেখেও তোমার নীতির মাথা বিগড়বে না। যাও, আজ রান্না কর গিয়ে, অনেকদিন কিছুই খেতে রুচি হয় না,তোমার প্রসাদ নিরামিশ বড় ভাল লাগে,এবার থেকে তোমার কাচ কলা ও আতপ চালের ভাগি হব, তাতে যদি রুচিটা ফিরে পাই ।” দিদিমা দেখলেন, কিশোরের মনটা দুঃখের দিক ত'তে একটু ফিরে এসেছে। অনেক দিন তার হাতের রান্না কিশোর পাননি । ছেলে বেলার মত ঐ অবদার শুনে তঁরা প্ৰাণটা গলে গেল । “আচ্ছ। তবে রান্না করি গিয়ে, পেট ভ'রে খেতে হ’বে-ত না হ’লে ছেলে বেলায় যেমন আমায় আলো চালের ভাতের সঙ্গে চড়ি চাপড়টা ও প্ৰসাদ পেয়েছ, আজ ও তার ব্যবস্থা করব।” “আচ্ছা দিদিমা তাই ক’রো, তোমার কাছ থেকেই ত ‘রাম চিমটি ” Sea