পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Co ) এর পরে আর ৭৮ বছর চলে গেছে, জ্ঞানদায়িনীর ৩৪টি ছেলে মেয়ে ठू'oश्नCछ, किङ्ख् ऊँाद्ध চরিত্র-শোধরায় নাই, বরং অবনতির দিকে আরও অনেকটা অগ্রসর হয়েছে । কিশোর রায় প্ৰথম প্রথম উপদেশ দিয়ে তার মনের গতি ফিরাতে চেষ্টা পেয়েছিলেন। এক এক রাত্রি জেগে তিনি জ্ঞানদার নিকট কত উপাখ্যান ব’লতে থাকতেন। কোন দিন টেনিশন পড়ে শুনাতেন । সামান্য সামান্য জায়গার মানে করে দিলেই জ্ঞানদা। তা’ বেশ বুঝতে পারতেন, কারণ রাজা রাজাব রায় তাকে ইংরেজী শিখিয়েছিলেন, তা পূর্বেই বলা হ’য়েছে। টেনিসন থেকে কিশোর রায় গুইনিভিরের গল্পটি শুনালেন, সে জায়গায় আর্থার ভ্ৰষ্টা স্ত্রীকে আশীৰ্ব্বাদ করতে ক’রতে তঁার প্রতি স্বীয় গভীর ভালবাসা জানাচ্ছিলেন, গদগদ কণ্ঠে সেই স্থানটি নিজের হৃদয়ের সমস্ত আবেগ দিয়ে পড়িয়ে শুনালেন । কোন দিন “নিকলাস রো”এর ‘ফেয়ার পেনিটেন্টে'র গল্পের মৰ্ম্মোদ্ধার করতে গিয়ে এবং এনিকাৰ্ণাননার রেলপথে আত্মহতার কথা বিস্তাবিত ভাবে বর্ণনা ক’বুতে করতে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন। কখনও বা পুরাতন বাঙ্গলা বই হ’তে বেহুলার পাতিব্ৰত্য, মালঞ্চ-মালার ত্যাগ-স্বীকারের অপূৰ্ব্ব কথা উদ্দীপনার সহিত কীৰ্ত্তন ক’রেছেন, কিন্তু জ্ঞানদার নিকট সেই সকল কাহিনী কতকটা বিরক্তিকর বোধ হ’য়েছে—ঐ সকল গল্প বলার মধ্যে র্তার চরিত্র ংশোধনের জন্য যে প্রচ্ছন্ন চেষ্টা ছিল, সতীত্বের দিকে টেনে নেওয়ায় যে গুপ্ত প্ৰয়াস ছিল সেটি জ্ঞানদায়িনীর মোটেই ভাল লাগতি না । গল্প যখন নীতি-সঙ্কলনে বিশেষ ব্যস্ত হয়, তখন ভুক্তিভোগীর নিকট তা” আর «Հ ԳԵ* '.