পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৱে অনালে কাছে গিয়েছিল। তঁদের একজন আমায় বলেছেন, যে রেমো তাদের কোন কথাই বলতে দেয় না-নিজে প্ৰায় দুঘণ্টা বক্ততা করবে,এরা যদি তঁর মধ্যে কিছু বলতে যান-তবে “একটু অপেক্ষা করুন, আমার কথা ফুরায় নি।” এই বলে মুখে থাবড়া মেরে অনর্গল বক্ততা করতে থাকে। আমাদের তো ভাই আমলই দেয় না। সে বলবে, আমরা চুপটি ক’রে শুনিব, এই সম্বন্ধ। শুধু তাই নয়, তার অভ্রান্ত মতগুলি আমাদের বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিতে হ’বে, বাইরে মাতব্বরি করলেও ভেতরটা কোমল আছে, গিন্নিকে জুজুৱা মত ভয় করে। লম্বা লম্বা দাড়ি রেখেছে কথা বলতে গেলে সেগুলি দুলতে থাকে।” কিশোর রায় হেসে বল্লেন, অঙ্ক কষতে গিয়ে ফলটা কিছুতেই মেলে না, তবুও বুথ সাহেবকে বলত যে তাৰ processটা right। বুথ সাহেব ক্ষেপে গিয়ে তাকে একবার ৫২ টাকা জরিমানা করেছিল, তোমার মনে নাই ।” শ্ৰীশ• • •“হঁ্যা গো মনে আছে।” কিশোর-“পূর্ণ রাউতটি তোথায় ? ক্লাসে অবসরের ঘণ্টায় আমরা লাইব্রেরীতে গিয়ে নাটক, নভেল ও কবিতা পড়তুম। আর পূর্ণ রাউত লগারেথেমা, সিন থেটা’, ‘কস্য থেটা প্ৰভৃতি বিষয়ক পুস্তক নিয়ে সেই গুলিই তার অবসর-রঞ্জিনী বিদ্যা মনে ক’রে ধীরে ধীরে পাতা উল্টোতে থাকত। সে বরিশালে একটা কলেজে প্রফেসার হ’য়েছে, তার অটুট গাম্ভীৰ্য্য এখনও ভাঙ্গে নি। এক দিনে একটা রেলওয়ে ষ্টেশনে খাবার কিছু না পেয়ে আমি কিছু ছোলা ভাজা, ও মটর ভাজা কাচা লঙ্কা দিয়ে খাচ্ছিলুম-পূর্ণ তখন কাছে এসি মটর ভাজা চিবুতে লাগল, মুখে শব্দ নেই, একটু হাসি নেই, যেন বীজগণিতের অঙ্ক কষছে।” ২ কিশোর হেসে বরেন “যা, বল ভাই, বলিহারি বিপিনকে, এত SRO