পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৰে দুৱ অনালেী প্ৰতিপন্ন ক’রে তার জন্য মায়া কাল্প কঁদিতে হ’বে না । প্ৰত্যেকের মধ্যেই কোন না কোন গুণ আছে, তা” আবিষ্কার ক’রে বিকাশ করাই হচ্ছে সমাজের প্রধান কৰ্ত্তব্য। ষ্টেটের হাতে "ভার থাকলে এটি অনায়াসেই হ’তে পারবে। প্ৰত্যেক বাপ মা সরকারের চাদা দেবেন, এই দায়িত্ব নেওয়ার পক্ষে তা হ'লে সরকারের আর্থিক অন্তবায় উপস্থিত হবে না ।” শ্ৰীশ বাবু বল্লেন-“মানুষের sentiment বলে তা একটা জিনিষ আছে। যে দেশে সীতা-সাবিত্রী স্বামীর প্রতি প্রগাঢ় ভক্তি দেখিয়ে আদর্শ হ’য়ে আছেন,-ভরত,লক্ষণ,ভীম প্রভৃতি জ্যৈষ্ঠ ভ্রাতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে অমর হয়েছেন,-এমন কি যেখানে হনুমান প্ৰকৃতি শুধু স্বীয় প্রভুর আজ্ঞাকারী হ'য়েই জীবনের চরম স্বার্থকতা লাভ করেছেন, এই স্নেহ-শীতল সিদ্ধিপ্ৰদায়ী পারিবারিক জীবনটার মুখে আগুন দিতে চাস । বুঝি ? এতকাল রামায়ণ প্রভৃতি গ্ৰন্থ য" শিখিয়ে এসেছে এখন বুঝি তার উণ্টো গান গাইতে হবে ?” কিশোর, • “ওসব sentiment affair sentiment'sfe Catctg কষ্টের কারণ বই আর কিছুই নয়। পারিবারিক গণ্ডী ছেড়ে এখন জাতীয় গণ্ডীতে পা” দেবার সময় হয়েছে। শিশুর জামা যেমন সে বড় হ’লে আমার তার গায়ে লাগেনা, তেমনই রামায়ণাদির শিক্ষা হ’তে উচ্চতর শিক্ষা চাই, এখনকার উপযোগী করে শিক্ষা দিতে হবে।” শ্ৰীশ বাবু হেসে বল্লেন “তোর মত কয়েকটা শিক্ষক হ’লেই দেশ উদ্ধার হ’য়ে যাবে আৰু কি ! তোরা কিছু গড়তে পারবি নি, ভাঙ্গাবার হাতুড়ির ঘা ক’ষে মারতে পরবি, সে সম্বন্ধে সংশয় নেই।” • কিশোর রায় বন্ধুর হাতটি ধ’রে বল্লেন, “এ যেন আবার সেই কলেজে পড়ার সময় ফিয়ে এল! দুষ্ঠাখ দেখি দেড় ঘণ্টাকাল আমরা একটা খেয়াল SRSo