পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৰেৱৰৱ অনালে আর মন্দিরের দীপ দেখেছিল, সেটা এখন পিশাচের আলেয়া ব’লে তর্ক করছে কেন ? এর এত ঐশ্বৰ্য কি ভষ্মের স্তুপ ?” বৃন্দাবনে গিয়ে যশোমাধবের মঠের নিকট যতই অগ্রসর হ’তে লাগলেন, ততই গভীর ব্যাথায় কৃশোব রায়েল মন ভারাক্রান্ত হ’য়ে উঠলো। মহান্তজি প্ৰবাস হ'তে সবে ফিরেছেন। তিনি আবার তঁার দানশীলতার কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করতে বেরুবেন, বর্ষাকাল-যাতায়াতের সুবিধার অপেক্ষা কচ্ছেন । সে দিন ঘনঘটা ক'রে আকাশে মেন দেখা দিয়েছে, ময়ুর গুলি পেখম। ধরে নাচছে। সন্ধ্যার স্নিগ্ধ শোভা ডুবন্ত সূৰ্য্যের সিন্দূৰ্ববর্ণে ভূষিত হ’য়ে উঠেছে। মঠের কাছে একটা কদমগাছের ডালে ডালে সাদা কেশরামর হলুদ গোলক ঝুলছে। বৃন্দাবনের কদম তরুর নীচে কৃষ্ণ ত্ৰিভঙ্গ হ’য়ে দাড়িয়ে বঁাশী বাজাতেন, এই গাছটা হয়ত সেই পবিত্র তরুর বংশধর । এই ভাবতে ভাবতে কিশোর রায় মঠে গিয়ে পৌছিলেন। মঠে তখন সন্ধ্যাবতি দেওয়া হচ্ছে । আজ কয়েকজন বৈষ্ণব অতিথি এসেছেন, তা’ন্দেরে নিয়ে কানাই বাবাজি আনন্দ কচ্ছেন। বাঘে, সিং দরোয়ান বাবাজির ঘরে একটা পরিস্কার ঝকঝকে পিতলের দীপ জেলে দিয়ে গেল, তার রক্তাভ শুভ্ৰাতায় বৈষ্ণবগণের কপালের তিলকগুলি উজ্জ্বল হ’য়ে উঠল। কানাই বাবাজি গাচ্ছেন,- “অঙ্গ পরিমল সুগন্ধি চন্দন, কুস্কুম কস্ত বীপাবা।” কৃষ্ণকে রাধিক স্বপ্নে পেয়েছেন। সেই স্বপ্ন-সুলভ কিন্তু সত্যিকার দুল্লােভ মিলনের কথা কিশোরের মনে পড়তে লাগল। মনে হ’ল যাকে জীবনে পান নাই, গান যেন তাকে বুকে’র কাছে দিয়ে গেল। গান শুনে দাতার কােছ শ্রোতা তার সর্বস্তু বিকিয়ে দিলেন । এইজন্যই এই গানটি কিশোর औ বাবাজিকে এর পরে। অনেকবার গাইতে অনুরোধ ক’রেছিলেন । SRGnQ`So