পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাড়িয়ে দিয়ে আঙ্গিনায় গোবর ছড়া দিত। সেদিী ও লাখ টাকা দিয়ে হার কিনে দিয়েছেন- আজ তার শোধ পাবেন । মানুষের বুদ্ধিই যদি গেল, তবে তো তার সব গেল।” A এই বলে দুজনে বারান্দা হ’তে বেরুবে, এমন সষয় রাধি দেখলে যেন রাজাবাবু একটা ঝড়ের মত সেই ঘর হতে বেরিয়ে গেলেন। তার মাথায় যেন বাজ পড়ল, তবে মনে হ’ল হয়ত কিছু শোনেন নাই, শুনলে ত এখনি জানা যাবে। রান্না ঘরের দাওয়ায় বসে সে বাট্টনা বাটতে লাগল, এদিকে ভয়ে তার বুকটা খুব জোরে উঠতে পড়তে লাগল। কিশোর রায় সব শুনেছেন। মুহূৰ্ত্তকালের জন্য র্তার মনে হ’ল ঘরে ; গিয়ে খেতে বসি, জলটা খাব, যা হবার তা হবে, জ্ঞানদায়িনী তি সুখী হবে। আবার ভাবলেন, পাগল হ’য়ে কতকাল বাচিব ঠিক কি-একটা পশু হ’য়ে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ােব, না হয়। এইখানে আমার পায়ে এর বেড়া দিয়ে রাখবে। শুনেছি পাগলেরা অনেকদিন दीप्त । ना डा। श्व न। শেষে বৈঠকখানা 7 ঘরের বৃহৎ বারা গুটাির উপর দ্রুতভাবে পায়চারি করতে লাগলেন এবং ভাবলেন “বাবাজি তুমি আমাকে এ বাড়ীতে জ্ঞানদার সঙ্গে একত্র থাকতে বলেছি, তুমি হয়ত বিশ্বাস করতে পার নাই, স্ত্রীলোক অধঃপতিত হ’লে কোন গহবরে গিয়ে পড়তে পারে। এইরূপ স্ত্রীর সঙ্গে প্ৰেম করে-তা সাধনার অঙ্গীয় করতে হবে, কি করে তা পারা যায় ? পর মুহূৰ্ত্তে জ্ঞানদার প্রতি তার সমস্ত প্ৰেম জুড়িয়ে গেল। তিনি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন, “একটা পাপিষ্ঠার জন্য নিজের জীবন ব্যৰ্থ করবে। কেন ? তার কাছে আমার এই জীবনের কোন মূল্য না থাকতে পারে।-কিন্তু আমার সহস্ৰ সহস্ৰ প্ৰজাত আমায় Yaco