পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MSPCS var “ফেলছে, স্ত্রী হ’য়ে অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে, ততই যে তার প্ৰতি টান বেড়ে যাচ্ছে। ভগবানের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর ক’রে বলতে লাগলেন, “আমার পক্ষে যা ভাল প্ৰভু তাই কর। আমার মনটাকে তুমি জোর ক’রে নাও, এর উপর যে আমার কোনই জোর চলেনা ।” ২টা বেজে গেল, একবার উঠে তিনি বাইরে গিয়ে বারাণ্ডার আলো জেলে দিলেন। অন্তঃপুরের দাসীদের মহাল হ’তে একটি পরিচারিকা ছুটে এসে বলে “রাজাবাবুর কিছু চাই।” কিশোর রায় বলেন “কিছুনা।” তখন আলো নিবিয়ে ঘরে এসে অন্ধকার বিছানায় ছটফট করতে লাগলেন। আরও এক ঘণ্টা গেল, তারপর কিশোর রায় কপাট৷ খোলার একটা অতি মৃদুশব্দ শুনতে পেলেন এবং জ্ঞানদায়িনী যে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লেন, তা বেশ বুঝতে পারলেন। তিনি দিনের বেলা তো প্ৰায় অন্দরে আসা ছেড়ে দিয়েছেন ; জ্ঞানদায়িনীর সঙ্গে বাহিক এখন কোন সম্পর্ক নাই, তবুও যে রাত্রিটুিকু নিরুদ্বেগে ঘুমোবেন, তাতে ও অন্তরায় উপস্থিত হ’ল । জ্ঞানদাকে হৃদয় হোতে সজোরে ঠেলে ফেলে যতই তিনি ভগবান্ধকে ডাকতে যান, ততই সমস্ত ঠেলা খেয়ে, বাধার মুখ ভেঙ্গে দিয়ে মনের ভেতর ভগবানের জন্য পাতা সিংহাসনে তিনি এসে বসতে লাগলেন। কিশোর রায় দেখলেন, ভগবান তঁর কাছ থেকে কতদূরে এবং জ্ঞানদায়িনী কত নিকট । r. এক মাসের মধ্যে তিন চাববার এইরূপ হ’ল | জ্ঞানদায়িনী ঘর ছেড়ে চলে গিয়ে ৫৬ ঘণ্টা পরে ঘরে আসেন। জীীর স্বামীর ধৈৰ্য্যের বাধ একটি একটি ক’রে খুলে গেল। তিনি জ্ঞাষ্টদাকে একবারে ছেড়ে দিয়েছিলেন, এখন তাকে বাধাবার উপায় খুজতে লাগলেন। বাবাজির NoCs.