পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপৰোক্স অনালো কথা মনে করে ভাবতে লাগলেন “ছাড়ব ও না। অথচ : সব সহ করব, এটি হতেই পারে না, আমি আর সত্যই পাথরের বুদ্ধদেব নাই।” ” সেইদিন ৫টা চবের তালা এনে রাত ৯টার পর যখন জ্ঞানদা শুয়েছেন, তখন হ’লবারের ৫টা দরজার সেচ ৫টা তালা বন্ধ ক'রে জ্ঞানদাকে বল্লেন, “তোমার কোপা ও যাবার দরকার হ’লে আমাকে জাগিয়ে দিও, আমি তালা খুলে দেব।” জ্ঞানদার গালদুটি শুধু নয়, চােখ ও কপাল পৰ্যন্ত রাগে রাঙ্গিয় উঠল, তিনি কিছু বলেন না-অপরদিকে পাশ ফিরে ঘুমের অভিনয় কৰতে লাগলেন। কিশোর রায় তার নিজের বিছানায় আরামেব নিশ্বাস ফেলে ঘুমিয়ে পড়লেন। এখন থেকে বোেজট ব্যুত্রে এইরূপ তালা বন্ধের পালা চল্লি । কিশোর রায় মাঝে মাঝে আলোর ফাঁকে ফাঁকে শসাশায়িত পত্নীকে দেখতে পান, তখন দেখেন, তার মুখপদ্মে রাগে’ব লাল রংটা যেন ঘণীভূত ও স্থায়ী হ’য়ে দাড়াচ্ছে। স্ত্রীব এই প্ৰতিষ্ঠাত মনোবৃত্তির আবেগটা তার কাছে নিতান্ত মন্দ মনে হ’ল না । এক সময়ে জ্ঞানদার সুমধুর হাসিটি তীব কাছে যেমন লাগত, এখনকাল বিলক্তি ভাবটি তেমনই ভাল লগতে লাগল, কারণ তিনি স্বীর ক্ৰোধ সত্ত্বেও এখন নির্বিঘ্নে সকাল পৰ্য্যন্ত ঘুমুতে পাচ্ছেন। একদিন হঠাৎ ১১টার পর তার ঘুম ভেঙ্গেছে,রোগষ্ট বাত্রে ঐ সময়টার তিনি একবার জেগে উঠেন । ৫৭ মিনিট পরে আবার ঘুমিয়ে পড়েন । সে দিন ঘুম ভাঙ্গার পর তার মনে হ’ল, নীচেকার ঘরে যেখানে কেউ থাকেন, সেষ্ট ঘরটায় পদশব্দ হচ্ছে । তখন আলোটা জেলে দেখেন, জ্ঞানদায়িনী শয্যায় নেই, তখন ভয়ানক বাগ হ’ল, আমার বলিশের নীচে থুেকে চাবি নিয়ে গেছে, ব’স, এবার চাবির এমন ব্যবস্থা করব, যে তা” আর তোমার পাবান্ত সুবিধা হবেনা। আজ শেষ্যরাত্রে ফিরে এলে তার NSCNNO