পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*egota VertCot "ভঙ্গী ক’রে “গলায় হাত দিয়ে” কথাটার উপর এমনই জোর দিয়ে চীৎকার করতে লাগলো, যে সত্যই মনে হ’ল ষে সে কারু গলাটি টিপে ধ’রে তাকে জুলে ঠেসে ধরেছে। ছেলেদের মধ্যে, এমন কি নবীন সন্ন্যাসীদের মধ্যেও এমনই হাসির ‘রোল উঠেছে, তার হাতে তালি দিচ্ছে, কেউ কেউ পিঠ চাপড়িয়ে বাউলকে এমনই উৎসাহ দিচ্ছেন, যে আশানন্দের গানের উত্তেজনা ক্ৰমশঃ বেড়ে উঠছে। সে বুঝতে পারে নি। এগুলি হাসি ঠাট্টা । তবে আশানন্দের এই আগুণে পোড়-খাওয়া প্ৰকৃতিটার একটা দিক একটু কম শক্ত ছিল। তাকে কেউ চটাতে পারত না, ঠাট্টাকে সে ংসা মনে করে নিত, কিন্তু যদি কেহ থুথু দেওয়ার ভয় দেখিয়েছে, তখন তার অটুট ধৈৰ্য্যের বাধ একবারে ভেঙ্গে গেছে। বালকেরা তাকে এই অবস্থায় থুথু দেওয়ার অভিনয় ক’রে দেখাতে লাগল। আর যাবে কোথা ? আমনি আশানন্দ গান থামিয়ে চীৎকার করে কঁদতে সুরু ক’রে দিল। সে কান্না প্ৰায় ক্রোশ খানেক পথ হ’তে “শোনা যেত।--তা। এমনই বিকট । আশ্রমের অধ্যক্ষ প্ৰেমানন্দ মহারাজ এই চীৎকার শুনে মঠের দিকে চলে।” এলেন, তঁাকে দেখে সন্ন্যাসীরা চুপ ক’রে দাড়ালেন এবং বালকেরা পালিয়ে গেল। আশানন্দ টিকি দোলাতে দোলাতে এগিয়ে এসে নাকি সুরে বল্পে “মহারাজ, এরা খুখু দিচ্ছে।” প্ৰেমানন্দ মহারাজ একটু রুক্ষ সুরে সন্ধাসীন্দেরে বল্লেন-“কেন তোমরা একে নিয়ে ঠাট্ট তামাসা কচ্ছ। জিহ্বােব সংযম-সন্ন্যাসীর একটা প্রধান সংযম।” এই বলে এক জন সন্ন্যাসীকে তিনি আশানন্দকে DBLB JDB DBDS LDD BB BDDO S আশানন্দ হাত জোড় করে বল্প “পেয়েছি।”