পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ওপারের আলো

 এই রমণীর আগমন সম্বন্ধে কিশোরানন্দ কিছুই জানেন না; ইঁহার এ সমস্ত ব্যাপারে কোন কৌতুহলই ছিল না। যখন যে কাজের ভার পেতেন, তখন তা’ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।

 বেলা ৪টার সময় কিশোরানন্দের নিকট খবর এল, মহারাজ আপনাকে ডাক্ছেন। কিশোরানন্দ প্রেমানন্দ মহারাজের প্রকোষ্ঠে উপস্থিত হ’লে মহারাজ তাঁকে বল্লেন—

 “একটি বিশিষ্ট ঘরের মহিলাকে আমাদের সেবাশ্রমে আনা হ’য়েছে, আপনি শুনেছেন?”

 “শুনেছি মহারাজ।”

 গোপল ডাক্তার বল্‌ছেন—এঁর জীবনের আশা নেই—তথাপি যাবৎ শ্বাস, তাবৎ আশ, পুলিশে খবর পাঠান হ’য়েছে।

 “আমায় কি ক’রতে হবে?”

 “আপনার হাতে যে বেতোরোগী ছিল—তিনি অনেকটা সুস্থ হ’য়েছেন। সাধন বল্‌ছেন, আপনি তাকে কষ্ট দিচ্ছেন—যা খেতে চায়, তা দেন না,—পথ্য ঠিক মাত্রার মত দেন, মাথা কুটে মর্‌লেও একটু বেশী দেন না। যদিও আপনি ঠিক মায়ের মত তার সেবা করেন এবং সেও আপনাকে না দেখ্‌লে উতলা হ’য়ে পড়ে, তবু আপনার ব্যবহার অতি কঠোর। ঠিক ডাক্তারের কথা কি কোন রোগী আখরে আখরে পালন “কর্‌তে পারে?”

 কিশোরানন্দ বল্লেন-_“দুই একবার তাঁর আব্‌দার রাখ্‌তে গেলুম, তাতে ব্যারাম বেড়ে কি কষ্টই না পেয়েছেন।”

 “তা যা হোক, আপনাকে আর একটি রোগীর ভার নিতে হ’বে। সাধনানন্দ বেতো রোগীকে দেখ্‌বেন, তিনি যে আপনার চেয়ে ওঁর আবদার বেশী রাখ্‌বেন, তা নয়, তবু নুতন লোকের হাতে একটু বেশী

৩৩১