পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९e>टन्ड्रेन्द्रा पटपt८टा হ’রে গেল-উন্মুক্ত আবেগে কিশোরানন্দ ডাক্তার ডাকতে গেলেন। পরিচারিকাকে ডেকে ব’লে গেলেন, কিন্তু দুই মিনিট পরে এসে দেখেন, জ্ঞানদা, আধ-নিমীলিত চক্ষে নিষ্পন্দ হ’রে শুয়ে আছে, ডাক্তার পরীক্ষা ক'রে বল্লন, প্ৰাণ নাই। তার অতি সুন্দর পদ্মাপলাশ চক্ষের একপ্ৰান্তে এখনও অশ্রু টল টল করছে। এত আদরের, এত সাধের, এত দুঃখের জ্ঞানদা পর্বের হাতের প্রহারে প্ৰাণ দিয়েছেন ! কিশোর রায় আর সেখানে এক মুহুৰ্ত্তও থাকতে পারলেন না। সব যে ধরা পড়ে যাবে, চোখের জল যে গড়িয়ে পড়ছে, তা থামুন্নবেন কি ক'রে ? চীৎকার ক’রে র্কান্দতে ইচ্ছা হচ্ছে,-- একবার" একটা অঙ্কুট শোকের স্বর বার হয়েছিল। এ হ’লে যে সব্বাঈ ধ’রে ফেলবে। জ্ঞানদায়িনীর কলঙ্কের কথা লোকে জানতে পারবে। কিশোর রায় উৰ্দ্ধশ্বাসে সেই আশ্রম হ’তে ছুটে চপ্লেন। যে আগুনে দাউ দাউ ক’রে ঘর পুড়ে গেছে,--আশ্রমে সব ছেড়ে এসে আবার সে আগুন লাগলো । সমস্তার, পর সমস্যা,-আশ্রমের কাছে মুক্ত মাঠে এসে কিশোরানন্দ দেখলেন, এতদিন কিশোরানন্দ নামের ভূণে ক’রে তিনি একটুও শোধরাণ নাই, বে কিশোর রায় সেই কিশোর রায়ই আছেন। “তোমরা সন্ন্যাসীরা আমাকে সংযমের আদর্শ মনে করেছ, সে সংযম তো আমি প্ৰাণ-শক্তিতে জোরে টেনে রেখেছিলেম।--তার জন্য যে আমি দিন স্নাত কি সম্বেছি তা” আমি জানি, এখন যে বালিৰ বাধের ন্যায় সে সংযম ভেসে যায়— এখন তোমাদের কাছে দাড়ালেই যে ভণ্ড স্ট্যাসীকে তোমরা ধরে ফেলবে !” মহাশোকের মধ্যেও তীর, একটা বুদ্ধি জাগ্ৰান্ত ছিল-জ্ঞানদা RR NORANAJAMA