পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্দ্ৰ অন্যালেস পাড়ে প্লেগে মারা গিয়েছেন। তুমি মঠে থাকলে আমি অনেকটা সোয়ন্তি পাব।” * কিশোর রায় আশ্রম ছেড়ে যাবেন শুনে সকলেই দুঃখিত হ’লেন । প্ৰেমানন্দ মহারাজ বল্লেন-“আমরা একে আমাদেব জপে-তপে পাই নাই, কিন্তু কৰ্ম্মের মধ্যে-সেবার মধ্যে-পুধেরূপ পেয়েছি, এরূপ কাউকে পাই নাই-সেবাশ্রমে ইনি আদর্শ সেবক ছিলেন।” হরিদ্বার হ’তে দুজনে বৃন্দাবনে এলেন। পথে” বা বাজি কিশোর রায়র্কে বল্লেন-“জ্ঞানদায়িনী তোমার প্রেমের প্রতিদান দেন নি, কিন্তু একটা মহৎ জিনিষ তােমায় দিয়ে গেছেন, সেটি বুঝতে পেরেছ ? তুমি অত্যাচারীকে অকুণ্ঠিত চিত্তে ক্ষমা করতে পারবে-তিনি তোমার পক্ষে সর্বাপেক্ষা বড় অত্যাচারিণী ছিলেন-সাংসারিক হিসাবে সকল সুখের মূল ছেদন করে গেছেন-তবুও সব ভুলে তুমি তঁকে ভাল বাসতে পেরেছ, তোমার জীবনে ভালবাসার এই অদ্ভুত বিকাশের তিনি সহায়তা করে গেলেন । সংসারে তিনি তোমার কোন শক্ৰ রেখে গেলেন না, মহা শক্রকেও এখন তুমি মিত্র বলে আলিঙ্গন দিতে পারবে।” কিশোর রায় চুপ করে শুনে বল্লেন, “তিনি আমাকে পতিতা রমণীদের জন্য কৰ্ত্তব্যের কথা শিখিয়ে গিয়েছেন, বলে গেছেন “ভাল হ’তে চাইলে আমায় আর কে নেবে ? আমার মবণ ছাড়া আর উপায় নেই।” এই বলতে বলতে আবার কণ্ঠ অশ্রু-রুদ্ধ হ’থে এল, একটু থেমে তিনি বল্পেন-**কেন। তিনি এরূপ মনে কল্লেন ? তার ভাল হওয়ার পথে যদি সিন্দুর তলার রাজবাড়ীর ঐশ্বৰ্য্য বাধা দিত, আমি তা খড়কুটোর মত ছেড়ে দিয়ে ভিখাৰী সাজিতুম।” ܠ88ܧܐ