পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSCSS SCS এই ত্যাগ উজ্জ্বল ক’রে দেখান শক্ত, কিন্তু দ্রোণ এ গল্পের মুখ্য চরিত্র নয়,-“একলব্যের ভক্তিই হচ্ছে মুখ্য বিষয় ।” -یت 66 তার পর বাল্মীকির রামায়ণ থেকে মূল সংস্কৃত শ্লোক কত মুখস্থ করেছে, যখন রামায়ণের গল্প বলে, তখন সেই শ্লোকগুলি মাঝে মাঝে আবৃত্তি করে, কি সুন্দর আবৃত্তি! নিজে শ্লেট পেন্সিল দিয়ে একটী ক’রে গল্প লেখে ও আমায় প’ড়ে শুনায় । ভাষা এমনই সরল যে পাঁচ বছরের ছেলেও বুঝতে পারে, আর হাতের হরিপ কি সুন্দর। দেখবে ?” এই বলে তুলসী দেবী তার খাতার পুটুলী হতে একটা লেখা বার করে দেখালেন। দেবেশ আশ্চৰ্য্য হয়ে গেলেন, যেন কাগজের উপর সাৱি সারি মুক্ত বসান। এক পাতায় খানিকটা ইংরেজী লেখা দেখে বল্লেন, “এ লেখা কার? কেন, বাবাজি নাকি খুব ভাল। ইংরেজী জানেন, তিনিই খামকে শিখিয়েছেন। এই ছয়মাসের মধ্যে শ্যাম ক'ত শিখেছে, তুমি তাধ কোন খোজ বুঃখ না। শ্যামতো বাবাজি বলতে পাগল, সে বলে, “বাবাজি যখন গল্প বলেন, তখন তার খাওয়া দাওয়ার কথা মনে থাকে না ।” “সে দিন বীর হাম্বীর নামে এক রাজার গল্প শিখে এসে আমায় বলে - ইনি বীরভূম অঞ্চলের বিষ্ণুপুরের রাজা, আগে দসু্য ছিলেন, তার পর গোসাইদের পুথি লুটু করে অনুতপ্ত হন। শ্ৰীনিবাস অ্যাচাৰ্থ একে দক্ষিণ দেন। এই গল্প এমনই ভাবে শ্যাম বলতে লাগল যে আমি চোখের জল সংবরণ করতে পারিনি , তুমি "Cব কাছে মহাপ্রভুর জীবনীটি শুন,-- গয়ায় গিয়ে যে তঁর ভক্তি হয়েছিল, সে কথা বলতে গিয়ে শ্যাম নিজেই চোখের জল রাখতে পারে না-সে বলে তোমরা বাবুজির মুখে শুনলে না,