পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vsetes দেবেশ • “শ্যাম কি দুঃখ ক’রে কিছু বলেছে ?” রাজ-“ঠিক তা নয়, কিন্তু সে যে ভাবে আমাদের গেটের পাহারাওয়ালাদের তকমারি পোষাকের দিকে চেয়েছিল, তাতে মনে হ’ল যেন সে নিজের ময়লা কাপড় দেখে লজ্জায় দুঃখে ম’রে যাচ্ছে । এরূপ ভাব হওয়াই স্বাভাবিক। সেদিন কর্তুঠাকরুণ। আপনাদের ওখানে গেছলেন, তঁর বড় হীরার তাগাটা হাতে ছিল । তিনি এসে বল্লেন, ষ্ঠার তাগা দেখে ছোটবাউ ( দেবেশের স্ত্রী) নিজের শুধু হাতদুখানি আঁচলের ভিতর ঢেকে রইল, একি সোজা দুঃখ দেবেশবাবু? এ সব দেখে শুনে আমাদের বড় কষ্ট হয়, অন্ততঃ বাড়ীখানা দ্বিতল ক’রে আসবাবপত্র ভাল রকম করা আপনার একান্ত দরকার হয়েছে।” দেবেশ • “আপনি কি বলেন, আমি রাধামাধবেব সেবা সংক্ষেপ করে, তঁর আঠটা নিজের সুবিধায় লাগাব ?” রাজ • • •“তাতেই বা দোষ কি ? পাণ্ডারা ত সব তীর্থে লাখ লাখ টাকা রোজগার কচ্ছে।--তা কি তারা সবই মন্দিরে দান করে ?” দেবেশ • “না, রাজনারায়ণবাব আমি প্ৰাণ থাকতে নিজের সুখের জন্য রাধামাধবের সেবার টাকা ভাঙ্গতে পারব না।” রাজনারায়ণ বাবু, যেন একটু চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তারপর চট্ট করে মাথায় যেন একটা মতলব এল। তিনি বল্লেন, “আচ্ছা, নব বৃন্দাবনের জন্য যে আপনি খেটে খেটে হয়রাণ হলেন, এতে আর এমন কি আয় হয়! এটা বিক্ৰী ক’রে ফেলে দোষ কি ? যদি কেউ ১৫/২০ হাজার টাকা দেয়--তা হ’লে আপনার সকল অভাব মোচন হয়। আপনি যদি বলেন, তবে আমি কৰ্ত্তবাবুব নিকট প্ৰস্তাব করতে পারি। তিনি আপনার সম্বন্ধে যেরূপ দি যাদ্র-চিত্তে Neca