পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i ভাবছেন.তাতে হয়ত সন্মতও হ’তে পারেন।” দেবেশ • “আপনি কি বলছেন, রাধা মাধবের নামে উৎসর্গ করা “নব বৃন্দাবন’ বিক্ৰী ক’রে আমি নিজের শোলার ঘর দ্বিতল করুব, খাট কিনব এবং শ্যামলেশের পায়ের জুতো কিনে দেব ! এমন পাপ কথা যেন আমার শুনতে না হয়।” রাজ, - “মহাশয়, আমি আপনার সুখ-স্বচ্ছন্দের জন্যই একটা কথা বলে ফেলেছি। আপনি বুঝতে পাচ্ছেন কেউ আমাকে এজন্য কিছু বলে দেয় নাই। আমি নিজে যতটা ভেবেছি, তাতে ঐ রূপ একটা কিছু কল্পে আপনি সুখী হবেন এই আমার বিশ্বাস! এই কথা বলে যদি কোন অপরাধ ক’রে পাকি, তবে, দেদেশবাবু, দোহাই আপনার, আমাকে মাপ করবেন, এবং একথা আর কাের কাণে তুলবেন না ।” দেবেশ-“দেখুন। এই বাগান, রাধামাধব বিগ্রহ এবং শ্যামলেশ, এদের সম্বন্ধে খুব ছোট কথায় ও আমার বকের তারগুলি যেন অস্থির হ’য়ে বেজে উঠে । আপনি নিশ্চয়ই, আমার কিসে ভাল হবে, তাই ভেবে কথাটি বলেছেন, কিন্তু আমারই হৃদয়ের দুৰ্ব্বলতার দরুন হয় তা আমার উত্তরটা একটু রূঢ় রকমের হয়ে গেছে। আপনিই আমাকে মাপ করবেন।” সেই দিন সন্ধ্যাবেলা হৃদয়েশীবাবু একটা মকমলের তাকিয়ায় ঠেশ দিয়ে সোণার আলবোলাটা এক হাতে ধ’রে কি ভাবছেন ! চাকরি রূপোর কল্কের সঙ্গে রূপোর শেকলে আঁাটা একটা কাটা দিয়ে তোমাকের আগুণ উস্কে দিচ্ছে ও আস্তে আস্তে ফু" দিচ্ছে, এমন সময় তঁাব কৰ্ম্মচারী রাজনারায়ণ এসে উপস্থিত । হৃদয়েশ তাকিয়ায় হেলান দিয়ে ছিলেন, কিন্তু সোজা হয়ে বসলেন, Noty