পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( so ) অদ্বৈতবংশ রামকৃষ্ণ গোসাইর বাড়ী ঢাকা জেলার বেতিলা গ্রামে । ইনি গোড়া বৈষ্ণব, সিন্দূরতলা ও তিন্নিকটবৰ্ত্তী কয়েকটি জায়গায় ইহঁর অনেক শিষ্য আছে। ইনি ভাল মানুষ লোক, প্ৰৌঢ় বয়স্ক গোপ দাড়ী কামান, রংটাকে ফরািস বলা যেতে পারে। শিষ্যবর্গের পরম ভক্তির সহিত দেওয়া ক্ষীর, সর, নবনী খেয়ে শরীরে বেশ একটা চিকুনাই হয়েছে। একসহস্ৰ তন্তুবায়, পঞ্চশতাধিক তেলী এবং আটশত দ্বিষষ্টি কৰ্ম্মকার এবং অপরাপর জাতীয় প্ৰায় তিনশত শিষ্যের সঙ্গে কথোপকথনের ফলে সৰ্ব্বদা নিজের প্রভুপাদ ত্ব অবিসংবাদিত-রূপে প্ৰতিষ্ঠিত হওয়ায়, তিনি একবারেই প্ৰতিবাদ সহ করতে পারতেন না । শাস্ত্ৰবিচারে তিনি বাস্ত্ৰ, কিন্তু যারা তার কথা ঘাড় পেতে • গ্ৰহণ করে এবং গরুড়পক্ষী হয়ে সৰ্ব্বদা সহচর ভাবে থাকে তাদের প্রতি গোসাইজীর অত্যন্ত দয়া। শিয্যাদিগকে পীড়ন ক'রে কিছু আদায় করেন না, বরং একান্ত অনুগত শিষ্য দুঃসময়ে পড়লে তাকে সাহায্য ক’রে থাকেন । এজন্য শিষ্য সেবকেরা ইহাকে ভালবেসে থাকে । শাস্ত্রের কথা তুললে তন্তুবায়, কৰ্ম্মকার, তেলী প্রভৃতি জাতীয় শিষ্যেরা র্তার কথা বেদবাক্য বলেই মনে করে । সুতরাং বেদীর উপর বসে তিনি যা” কিছু বলেন, গ্রামের স্ত্রী পুরুষেরা মাথা হেট করে শোনে এবং বাসুকী ফণা নাড়া "দিলে ভূমিকম্প হয়, একটা সোণার ডিম ভেঙ্গে তারমধ্য হ’তে চোদভুবন ফেটে বার হয়েছিল, দিগ হস্তীরা পৃথিবীটা কঁধে ক’রে আছে, এ সকল তত্ত্ব তিনি বুঝিয়ে গেলে অমনই RS