পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাৱেল অনালো শিষ্য সেবকগণদের কণ্ঠস্থ হয়ে যায়, এবং সেই জ্ঞান পিতৃ পিতামহ কর্তৃক অর্জিত হয়ে পুরুষানুক্রমে সকলের মাথায় চ’ড়ে চৌদ্দপুরুষ পৰ্য্যন্ত অবাধ-গতিতে নীচে নামতে থাকে। রাজুপোদ্দার একদিন বল্লে, “প্ৰভু, সিন্দুরতলায় এক বৈষ্ণব সাধু এসেছেন, এতবড় সাধু নাকি দেশে আর নাই। গ্রামের রাজাবাবু। সাধুর কুঁড়েঘরে এসে সকল বিষয়ে তার পরামর্শ নিয়ে কাজ করেন, , কত লোক কত উপহাব দিতে যায়, কারু কাছে কপৰ্দক ও নেন না । লোকের দৌরাত্মির গতিকে কতদিন মৌনী হয়ে ছিলেন এখন আবার সকলের সঙ্গে কথা কইছেন, খুব ভাল কীৰ্ত্তন গাইতে পারেন, ঘে শোনে সে আর তার কাছ থেকে উঠে যেতে চায় না ।” গোসাই, . . “কোন জমিদারের কথা বল্লে ? কিশোর রায় ? র্যার আর ৫/৬ লাখ টাকা ?” পোদারা,--“আঞ্জে হা ।” গোঁসাই,- “সেই সাধুর পরামর্শ নিতে কুড়ে ঘরে আসেন ?” পোদ্দার , , ,“আজ্ঞে প্ৰভু ঠিকই ।” V গোঁসাই-সে। সাধুকে একবার আমার নিকট নিয়ে আসতে পার ?” পোদ্দার-“আপনি প্ৰভুপাদ, আপনি ডাকলে না এসে থাকবে, সে তা হ’লে বৈষ্ণবই নয়। তবে কিনা ---” গোসাঁই, , , “বুঝেছি — যদি না আসেন । তার বয়স কত, আমাদের অপেক্ষা বেশী বয়স নাকি ?” পোদ্দার - “আজ্ঞা হা, প্রভুর বয়স জোর ৪০ হবে।--কিন্তু তার বয়স ঢের বেশী, অনেকগুলি চুলই পাকা ।” ” গোসাই• • • “আচ্ছ। তবে তাকে কষ্ট দিয়ে কাজ নেই, কাল সকালে আমি নিজেই যাব; এখান থেকে তো আর বেশী দূর নয় ?” 3S