পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপাৰেৱন্ধর অনালো বহু লোক নানারূপ খাবার নিয়ে সাধুবাবার বাড়ীতে এলেন। চাল, ডাল, শর্করা, দধি দুগ্ধ, ঘূত ও নানারূপ ফলে উঠান ভষ্টি হয়ে গেল । কিন্তু হরিচরণ দাস দুই হাঁটু মাটীতে রেখে, ঠিক হামাগুড়ির ভাবে বাবাজির পায়ের কাছে বসে পড়ে। কঁাদ কঁাদ সুরে বল্লে-“আমার বাড়ীতে গোসাইজির সেবা হবে। এই কৃমিকীট বহু চেষ্টা করে বা উড়াতে উদ্যোগ করেছে। একজন ভাল বৈষ্ণব বামুন রান্না কচ্ছেন, এখানে আহারের জোগাড় কল্পে আমি হত। দিয়ে মারব,” বা বাজি হেসে বল্লেন, “আপনার এগুলি নিয়ে যান, আমােব আজ মাধুকরী হবে, আর একদিন না হয়।” গোসাইজির শিষ্যের তিন চার জনে সমস্বরে বলে উঠলো-“ত হবার উপায় নাই, গোসাইজি চার পাচ বছর পরে বহু সাধ্য সাধনার ফলে এসেছেন-আর মাসখানেক থাকবেন, তা শিষ্যদের বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র খাবার জোগাড় হ’তেই পারে না। সকলেই প্ৰত্যাশা ক’রে আছে।” যারা জিনিষপত্র নিয়ে এসেছিলেন, তারা সেগুলি ফেরত নিয়ে চল্লেন ; কারণ বাবাজি একবার যা” বলেন, তার অন্যথা কিছুতেই করেন । না। পথে তারা সমস্ত জিনুিষ রাধামাধবের মন্দিরে দিয়ে গেলেন, eS বাবাজি মাঝে মাঝে সন্ধ্যাবেলা সেখানে শীতলভোগের কিছু খান, এটি তারা জানতেন। প্ৰথমকার আনন্দ ও গর্বের চােট সামলে নিয়ে গোসাইজি মুখ খুলেন। একখানি পীড়ের উপর শ্ৰীপাদ পদ্মাসন ক'রে বসলেন, তারপর মুখ থেকে যেন খৈ ফুটুতে লাগল। তার পায়ের কাছে বিনীতভাবে বাবাজি ব’সে শুনতে লাগলেন। দূরে পরিকরেরা চুপ ক’রে দাড়িয়ে প্রভুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। W প্ৰভু দ্বাদশ-গোপালের কথা তুল্পেন,-আঙ্গুল গুণে গুণে প্ৰত্যেকটি গোপালের বিষয় ব্যাখ্যা করতে লাগলেন। “খানাকুলের অভিরাম গোস্বামী NSO