পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९s°Cन्ड्रन्द्ध ट्पां८व्t হচ্ছেন আদি গোপাল, ইনি বৃন্দাবন লীলার শ্ৰীদাম সংখ্যার অবতার, মহেশপুরের সুন্দরানন্দ ঠাকুর হচ্ছেন। দ্বিতীয় গোপাল, ইনি হচ্ছেন ব্ৰজলীলার সুদাম,” অনিমিকার দ্বিতীয় রেখায় খুব জোরের সহিত বৃদ্ধাঙ্গুলী ঠেকিয়ে বল্লেন “আকনা মহেশের কমালিকর পিপলাই হচ্ছেন কৃষ্ণসখী। কোকিলের অবতার, ইনিই তৃতীয় গোপাল” ক্রমশঃ উৎসাহ বৃদ্ধির সঙ্গে চোখের তারা দুটি রাধাচক্রের ন্যায় মাঝে মাঝে একবার উদ্ধে * ও একবার নিম্নে ঘুরতে লাগল;-বিপুল উৎসাহে করাঙ্গুলী গুনতে গুনতে শেষে দেখেন, দ্বাদশ গোপালের জাগায় চৌদ্দ গোপাল হ’য়ে গেল। তখন নিজেই আশ্চৰ্য্য হয়ে একটু ভাবতে লাগলেন-ঠোঁট গুটি আরও ফাক হ’য়ে গেল, হঠাৎ একটা তুড়ি মারুলেন, নইলে একটা মাছি সেই মুক্ত বদন বিবরে নিশ্চয়ই ঢুকে পড়ত। গোসাই দমিবার লোক নহেন, আবার উৎসাহের সঙ্গে চৈতন্য লীলার সঙ্গীরা কে কা’র অবতার বলে যেতে লাগিলেন, রূপ-কৃষ্ণলীলার রূপমঞ্জরী, সনাতন লবঙ্গ মঞ্জরী, কবিকৰ্ণ পূৱগুণ চুড়া ; এই ভাবে বহুবৈষ্ণবের পূর্ব অবতার চাক্ষুষ প্রমাণের ন্যায় গৰ্ব্বভরে দেখিয়ে দিতে লাগলেন। মুরারিগুপ্ত হনুমানের অবতার এবং পুরন্দর পণ্ডিত অঙ্গদৈর অবতার নিৰ্দেশ করে বল্পেন ”পুরন্দব পণ্ডিতের লাঙ্গুল অনেকেই দেখেছিলেন,-বৈষ্ণব দাসের বৈষ্ণব বন্দনায় তাহা লেখা আছে” । এইবার কপালে ঘন্ম দেখা দিল, এবং খানিক নাকটা খুব বঁাশীর মত হেলিয়ে রেখে খুব একচােট নাস্তি উদ্ধ দিকে টেনে নিয়ে চৈতন্যদেব যে গোপীনাথের সঙ্গে মিশে গেছলেন, তা” ৰ’লতে গিয়ে আশ্রপাত করলেন, এবং তিনি ঝাড়ি খণ্ডের বনে যে বাঘের মুখে হৰিনাম বার করেছিলেন- বলদেব ভট্টাচাৰ্য্য উক্ত এই কাহিনী বলতে গিয়ে ভাবে গদগদ হলেন । তারপর আরও কত কথা ! তার বিদ্যার ভাণ্ড"ব যা কিছু ছিল একবারে উন্মুক্ত করে ফেল্পেন-শ্ৰীগোবিন্দকে ঈশ্বরপুরী পাঠিয়েছিলেন, 3.