পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Tk t এজন্য সে শূদ্র হয়েও মহাপ্রভুর সেবার অধিকার পেয়েছিল। চৈতন্য চরিতামৃত ও চৈতন্য ভাগবত অপূৰ্ব্ব গ্ৰন্থ, কারণ তাদের পূর্বে জগতে (এক ভাগকত ছাড়া ) এরূপ অপূর্ব গ্ৰন্থ আর লেখা হয় নাই। চৈতন্য প্ৰভু বৰ্ণাশ্রম মানতেন ; হরিদাস যবন, সুতরাং পুরীর মন্দিরে যেতেন না, বামুনেরা যে পথে হাটে, সে পথ ছেড়ে তিনি বিপথে তপ্ত বালুতে আঙ্গুল পুড়ে মহাপ্রভুর দর্শনার্থ আসতেন,-এতে মহাপ্ৰভু বড়ই তুষ্ট হয়েছিলেন। “এখনকার মুখেরা বলে তিনি, বর্ণাশ্রম মানতেন না, কিন্তু গয়া যাত্রার পরে তঁর যখন জর হয়েছিল, তখন তিনি ব্ৰাহ্মণের পাদোদক ভক্তি পূর্বক পান করে আরাম হয়ে গেছিলেন।” তারপর গোসাইজি কবি গোবিন্দ দাসের কথা পাড়লেন, “তিনি বুধরী গ্ৰাম থেকে বৃন্দাবনে পদগুলি পাঠিয়ে দিতেনসে এক মাস্তবড় পণ্ডিতের কাছে—আহা ! তার নামটি মনে পড়ছে আবার পড়ছেও না,” এই বলে টিকি নাড়া দিয়ে ঘাড় চুস্কোতে লাগলেন। সেই পণ্ডিতের নাম স্মরণ করার চেষ্টায় তার ভ্ৰ, দুটি কুঞ্চিত হয়ে ভাবুক- , তাকে সত্যি যেন একে দেখাল। কিছুক্ষণ তীকে চেষ্টা করতে দিয়ে শেষে বাবাজি বল্লেন- “সে পণ্ডিতের নাম কি জীব গোস্বামী নয় ?” “হঁ্যাহে আপনি ঠিক ধরেছেন ! "জীব গোস্বামী ! জীব গোস্বামী । মনে আৱ কত ধরবে, সব বৈষ্ণব শাস্ত্ৰ মনের মধ্যে আটুকে রেখেছি—দুএকটা স্মৃতিৰ ভ্ৰংস হতেও পারে । কি বলঙ্গে রামহরি বসাক ? সে বল্পে “তান্ত ঠিকই গোসাইজি ! মুনিদেরই ভুল হয়ে যায়, দেবতাদের ভুল হয়ে যায় !" গোসাইজি আরও কত কি বক্ততা করতে লাগলেন। যদুনন্দন দাসের কর্ণানন্দের কথা উঠল, তিনি ঐ বইখানি শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যের কন্যার নামে উৎসর্গ করেছেন,-“হা ঐ দেখি সে মেয়েটির নাম ভুলে যাচ্ছি।” বাবাজি বল্লেন, “হেমলতা” “বাবাজিরও তা বেশ দখল আছে!” এই বলে রোমো গোঁসাই বাবাজিকে প্রশংসা করলে তিনি বল্লেন, “এই দুই ঘণ্টা কাল 83