পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v92 tests সমালো কিছুকাল দেরী করেন, গোঁসাই সে কথা উজে নিজে স্মরণ ক'রে বলতে পারেন, কিনা তার প্রতীক্ষায়। যেন অপারে বলে দিলে তঁর অভিমানে পাছে আঘাত লাগে, এই আশঙ্কায় । শেষে যখন গোসাই একবারেই মনে করতে পারেন না, তখন অতি নম্রভাবে শিষ্যের মত মৃদুস্বরে সেটি বলে দেন। সেদিনও বীর হাম্বিরের পদে যে তার বৈষ্ণব নামটি আছে তা গোসাঁই ভুলে গেছলেন, বা বাজি “হরিচরণ দাস” নামটি বিনীত-ভাৰে ৰলে দিলেন। একদিন ধরে তো তিনি নিজে কত দাস্তিকতা করেছেনকিন্তু বাবাজি দিনরাত্ৰি যেন একটা ভাবের মধ্যে বিভোর হয়ে আছেন, কৃষ্ণনাম শুনলে এক একবার চোখ দুটি সজল হয়, “কৃষ্ণ” বলতে যেন উন্মনা হন ; তঁর সঙ্গে সাধুবাবার কত তফাৎ ! এ পর্য্যন্ত গোঁসাই নিজের পথে চলেছিলেন, হঠাৎ একি এক নূতন ধরণের লোকের সঙ্গে দেখা হ’ল, গোসাই নিজের কথাই দিনরাত ভাবেন-কিন্তু এবার জোর করে যেন বাবাজি তার মনের ভেতর ঢুক্ছেন-বাবাজির নীরবতা, বিনয় ও ভক্তি যেন কথা না ক’য়ে আত্ম প্ৰকাশ করছে। গোসাই এখন বাবাজির কাছে গিয়ে-নিজের দৰ্প জাহির করতে কেন জানি লজ্জা বোধ করতে লাগলেন ! বাবাজি যে তাঁর প্রতি মনোযোগের ত্রুটি দেখাচ্ছেন্ন-ত নয়, কিন্তু তিনি বাবাজির শৈল-কঠিন গাম্ভীৰ্য্য এবং চরিত্রের বৈষ্ণবোচিত কোমলতার এরূপ আশ্চৰ্য্য প্ৰকাশ দেখতে পেয়েছেন, যে তার নিজের কথাগুলি নিজের নিকটেই বৃথা বাগাড়ম্বর বলে মনে হতে লাগল। রোমো গোসাই এখন আর তত বক্ততা করতে উৎসাহ বোধ করেন না, বাবাজির কাছে যেতে র্তার ভাল লাগে-কিন্তু কিশোর রায়ের কাছে প্ৰতিষ্ঠা পাওয়ায় প্ৰত্যাশাটা মনের ভেতর কমে যেতে লাগল। তিনি বাবাজির মুখেৰ দুএকটা কথা শুনে নিজের বহু কথাগুলি যে কত অসার, তা বুঝতে লাগলেন । CSSR