পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্দ্ৰ আলো সহসা মাথায় কামানের গোলা পড়লেও দেবেশ এতার চমৎকৃত হতেন না। তিনি বাবাজির দিকে বিস্ময়যুক্ত দৃষ্টিতে চেয়ে বল্লেন, “বাবাজি, আপনিও এইরূপ কথা বলছেন ? আর কেউ জানুক আর নাই জানুক, আপনি তো জানেন “নববৃন্দাবন” আমার প্রাণ ! রাধামাধবকে দেওয়া আমার এই কষ্টের, জীবনান্তক শ্রমের বাগান-এই অপূর্ব বাগান আমি দাদাকে দেব, আপনার মুখে আমি এই উপদেশ প্রত্যাশা করি নাই।” বাবাজি ধীর স্বরে বল্লেন,-“এই বাগানের উপর হৃদয়বাবু ও তার স্ত্রীর রোখি পড়েছে, তারা হচ্ছেন বৈষয়িক লোক । তুমি যদি বৈষয়িক লোক হও, একই ধাতের লোক হও, তথাপি তোমার অবস্থা ও তাদের অবস্থায় অনেক তফাৎ । তঁরা অজস্ৰ অৰ্থ ব্যয় ক’রে তোমার অনিষ্ট চেষ্টা করলে তা’ তোমার ঠেকিরে রাখা মুস্কিল হবে। আর যদি তুমি ভগবানের ফকির হও, তবে তােমাব এই আট বিঘা জমির মায়া কেটে ওঠা মন্দ নয়। কারণ বাড়াবাড়ি রকম আসক্তি ভাল নয় ।” উত্তেজি "Z"-চিত্ত দেবেশ এই কথার অর্থ ভাল করে বুঝতে পারল না । সে কেবল বল্লে, “উ: আপনি ধু বাজনারায়ণের দলের— ৭ মে মৰ্ম্মবিদাবী কথা !” এই য’লে আর মুহূৰ্ত্তকাল সেখানে না থেকে, তাত দিয়ে বুক চেপে ধ’রে বাড়ী ফিরে বিছানায় পড়ে বক্টলেন । তুলসীদেবী বল্লেন, “কি ? অসুখ করেছে ?” চক্ষের জল কষ্ট নিরোধ ক’রে দেবেশ বল্লেন, ‘তুলসী দেখছি কি-সংসারে শত্ৰ" মিত্ৰ চেনা ভার । দাদাতো এই লাগানের জন্য আমায় যতটা উদ্বেগ দেবার, দেবেন—সে কথা আমি তোমায় বলেছি, কিন্তু কানাই বাবাজির ভাবান্তর দেখে আমার মৰ্ম্মান্তিক কষ্ট হয়েছে। লোক চিনতে পারি নাই, তুলসী, অতটা স্বাৰ্থত্যাগ কি একালের মানুষ অমনই অমনই করে থাকে ?” দেবেশের চােখদুটি জলে পুরে এল। তুলসী অতি স্নেহে, অতি যত্নে আঁচল দিয়ে তা” মুছিয়ে দিলেন এবং বল্লেন, NYOSR