পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাৱেৰীয় অনালো রাধামাধবের মন্দিরটি যেন সেই সুস্বরে কেঁপে উঠছে, যেন নারদ মন্দিরের কাছে বীণা বাজাচ্ছেন, যেন পদ্মাসনা বীণাপানি সমস্ত জগতে তার সুর সুধা বিতরণ কচ্ছেম । এই সুরে রোজ রোজ দেবেশের প্রাণে ভক্তির উদয় হয়, তিনি মনে মনে রাধামাধবকে প্ৰণাম করেন, কিন্তু আজি একি উৎকট যন্ত্রণ ! এ সমস্ত তার কিছু ভাল লাগছে না। প্ৰাতে তুলসীদেবী দেখলেন তার স্বামীর সুন্দর মুখখানি ভাবনায় শুকিয়ে গিয়েছে। তিনি সজলচক্ষে স্বামীকে বল্লেন,-“তোমাৰ জমি যাক, শুঠামলেশও আমরা দু'জন আছি, রাধামাধব আছেন, আমরা ভিক্ষা ক’রে খাব, যতদিন আমাদের কারুর বিচ্ছেদ না হয়, ততদিন উপোস করে থাকলেও আমরা সুখী, তুমি কি ভাবিছ ?” তুলসীর হৃদয় প্ৰেম-পরাবার, তঁর মুখে চোখের ভাবে সেই প্রেমের যে আভা প্রতিফলিত হচ্চিল তা” দেবেশকে মুগ্ধ কুৰ্ব্বলে। তখনই আর একখানি মুখ মনে পড়ল, সে মুখ ভক্তিতে ঢল ঢল- তপস্তা ও সংযমে পবিত্র, পরের দুঃখ সহানুভূতির খনি, তা” মনে হলে সংসার তুচ্ছ মনে হয়, ( হায়, বা বাজি, তুমি যে অবিশ্বাসী, তা” ভাবতেও বুকবিদীর্ণ হয়। তীর * সহসা মনে হ’ল কিশোর রায়ের কথা। কিশোর রায় চক্ষের জলে ফেলে র্তাকে এত কি বলছিলেন। তখন ভাবলেন, খুব ফন্দীবাজ লোক, হয়ত বাবাজি তাকে কোন বিপদে ফেলেছে ; প্রথম মিত্ৰত দেখিয়ে তারপর কি অনিষ্ট করেছে, কে জানে ? কানাই বাবাজির নিকট হৃদয়েশ গোপনে গিয়েছিলেন । তিনি ক্টার কাছে অনেক কান্নাকাটি করেন, এই বাগানটা না পেলে তার ১• • বিঘার পাছের জমিটা একবারে কণা হয়ে পড়ে। নববৃন্দাবনটি হচ্চে মুখপাত । আর তঁর স্ত্রী ওটর জন্য বড় ধরেছেন, বাড়ীতে টেকা দায়। বাবাজি বলেই দেবেশ স্বীকৃত হবে। কারণ সে তাঁকে গুরুর (Sეš