পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড়ই বিরক্ত হয়ে উঠতেন, তথাপি ছেলেটা ভয়ানক খাটতে পারত বলে তিনি কিছু বলতেন না । এই ভাবে রতন কুমার-কন্তুর ভৈরব,চন্দনাদি লৌহ, নবয়স,পূৰ্ণচন্দ্ররস, মহালক্ষ্মীবিলাস প্রভৃতি ৭৮ রকমের ঔষধ তৈরী করা শিখে ফেল্পে। মহানারায়ণ, মাসতৈল, ত্ৰিশতিপ্ৰসারিণী প্ৰভৃতি কয়েক রকম তৈলও জাল দিতে শিখল। কবিরাজ ম’শায়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বড় মানুষদের বাড়ীতে যেত, ও চাকর-বাকিরদের ঔষধ পত্রের দরকার হ’লে নিজে নাড়ী টিপে স্বাধীনভাবে চিকিৎসা করারও কিছু সুবিধা করে নিয়ে छिन् । રા8\ টাক! মাসিক যখন রোজগার আরম্ভ * マやF তার সুর আরও অবিশ্রান্তভাবে “এতদিনের পরে ঘরে” গানটিকে কায়দা করতে লাগল। ইতি মধ্যে তার শ্বশুর মারা যাওয়াতে র্তার নাবালক ছেলেগুলি ও বিধবা স্ত্রীর রতনকুমারই অভিভুবক হ’য়ে দাঁড়াল। এই সময়ে রতনের স্ত্রীবিয়োগ হ’ল । অবিলম্বে কৌলীন্য বলে সে পচিশ বছর বয়সে একটি ৭ বছরের মেয়েকে বিবাহ করে তাকে প্রতিপালন করতে লাগুলি। কিন্তু পূৰ্ব্ব দ্বার মাতা ও ভ্রাতাদের সংসার সে ত্যাগ করল না । ৭ বছরের স্ত্রী যখন চৌদ্দ বছরে পদার্পণ করুল, তখন এ স্ত্রীটিও যেন রতনের অযতনে তার উপর বাম হয়ে ভবধাম তাগ করুল, তখন আর একটি অষ্টম বৎসরের খুকী প্রথম স্ত্রীর পিতৃগৃহেই রতনের গৃহলক্ষ্মীরূপে দেখা দিল । এদিকে নানারূপ কেলেঙ্কারী জনরিবের সাহায়ে সেই গ্রামে রটনা হ’ল। শাশুড়ীর সর্বস্ব নাকি রতন কবিরাজ যে কোন উপায়ে তাকে হাত করে তার অল্পবয়স্ক ছেলেদিকে একবারে নিস্ব করে ফেলেছে, সকলের মুখেই এই এক কথা । বহু দুৰ্ণাম হ’তে য়ক্ষা পেয়ে এবার শাশুড়ীঠাকুরাণী পরলোক গমন করলেন এবং তঁর কাছ থেকে প্রার Nbby