পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপৰেৱেৰ অনালো সমস্ত জমিজমাই রতনকুমার লিখে নিয়েছেন-সেইরূপ দলিল বার করে শু্যালকদিগকে তাদের পৈত্রিক ভিটা হ’তে তাড়িয়ে দিলেন । এখন রতন কবিরাজের: বেশ সম্পত্তি হয়েছে ও f ৩নি বাজারে বেশ বড় রকমের একটি ডিস্পেন্সরী খুলেছেন। পরের জন্ম আত্মসাৎ করবার তঁার একটা স্বাভাবিক শক্তি ছিল, এটা মাজুক্তারের মূষিক * ধরার শক্তির ন্যায়-পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মফল-লব্ধ । তার জমি সংলগ্ন কোন লোকের পতিত জমি পেলে রাত্রিকালে তিনি পিল্পে সবয়ে দিতেন— সেই জমির দিকে জানােলা খুলে স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতেন, এবং মাসে মাসে চলন্ত একটা বেড়া, যেন তৎপক্ষীয় সৈন্যের ন্যায় বিজয়- অভিমানে রওনা হ’য়ে পরের জমি ক্রমশঃ আত্মসাৎ করত । আদালতে উকীল দিতেন যে তারা ভাবতেন এ লোকটা নিতান্ত ভালম’ সুম ব'লে অপ একে ঠকিয়ে খাচ্ছে । এখন রতন কবিরাজের বয়স ৭০ ৷৷ ৭৫ হবে, তঁ, বি মুখ ?? নি অনেকটা ঘোড়াবু মুখের মত লম্বা, মাথায় বিপুল টাক, দাঁত গুলি ভাঙ্গা বেড়ার মত গালের কাছে নড়বড় কচ্ছে । মৃদুস্বরে কথা বলেন , সত তীর পঞ্চমপক্ষীয় অষ্টাদশবৰ্ষীয় স্ত্রীর মনোরঞ্জনার্থ পাছের দিকে ধ; কয়েকটি কেশ আছে তা সুগন্ধি তৈলে মার্জন ক’রে আঁচড়িয়ে রাখেন । গ্রামের কোন সঙ্গীন মোকদ্দমায় সাক্ষীর অভাব হ’লে টাকা থাকলে লোকে রতন কবিরাজকে স্মরণ করলেই ফল লাভ করতে পারত, এ ধারণা সে অঞ্চলে সকলের মনে বদ্ধমূল হয়েছিল।