পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( s8 ) কতকদিন যাবৎ হৃদয়েশ সৰ্ব্বদা রতন কবিরাজের সঙ্গে গোপনে কি পরামর্শ করতে লাগলেন । হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাবেলা দেবেশের নিকট, এক উকীলের চিঠি এসে প্রাজিব । তার মৰ্ম্ম এইরূপ “যে আটবিঘা জমিতে তুমি বাগান করেছ, তার অৰ্দ্ধেক আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। এপর্য্যন্ত তুমি তার বাবদ ৩২৮ny০ আনা বাৎসরিক খাজনা দিয়ে এসেছ, কিন্তু গত তিন বৎসর তুমি,পুনঃ পুনঃ ত গাদা সত্বেও কোন খাজনা দাও নি। একারণ লিখি, তুমি যদি ১৫ দিনের মধ্যে ঐ খাজনা না দাও, তবে তোমার নামে বাকী খাজনার নালিশ হবে। আব্ব ও লিখছি যে তুমি আমার উক্ত ৪ বিঘা জমির ঠিক প্ৰজা, খাজন। শোধ করে আজ হতে তিন মাসের মধ্যে তুমি আমার জমি খালাস ক’রে দেবে।” এইরূপ যে একটা, কিছু • হবে, তভক্তস্থ্য দেবেশি প্রস্তু ত ছিলেন। তিনি চিঠিখানি হাতে করে গ্রামের বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ কাৰ্ত্তিক চাটুয্যের নিকট গেলেন ; প্ৰণামপূৰ্ব্বক তার কাছে বসে বল্লেন “ঠাকুরদা, “নব-বৃন্দাবনের” আট বিঘা জমি আমার বাবা কতদিন হ’ল কিনেছিলেন এবং আমার খুঁড়ো প্ৰাণেশ ভট্টাচাৰ্য্য তখন কি এক সংসারে ছিলেন, না পৃথক হ’য়ে গেছলেন ?” কাৰ্ত্তিক চাটুধ্যে তাকিয়ায় ঠেশ দিয়ে বল্লেন, “সে অনেক দিনের কথা । তোমার খুল্লতাত প্ৰাণেশ ভট্টাচাৰ্য্য তখন বিয়ে করে বিস্তর জমি জমার মালিক হয়ে স্বতন্ত্র হয়েছিলেন। তোমাদের পৈত্রিক জমির অৰ্দ্ধেক ভাগ ও বিধাহলব্ধ জমিদাবী নিয়ে তিনি পৃথক হ’য়ে যাওয়ার পর 4o