পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারের অমালো বিভোর দেবেশ আগে আগে চল্লেন এবং পাছে পাছে পাণ্ডাজি নাগরা জুতার থপথপ শব্দ ক’রে দেবেশের বাড়ির দিকে অগ্রসর হ’তে লাগলেন । । হৃদয়েশ মামলা রুজু করেছেন। ধনপতি গয়লা ও রাজু সকরা উভয়েই বয়োবৃদ্ধ, তারা প্রধান সাক্ষী। তারা ঘুষ খেয়ে দেবেশ যে রীতিমত তিনবৎসর পূৰ্ব্বে দেবেশকে খাজনা দিয়ে এসেছে—তার সাক্ষ্য দেবে। দেবেশ একটি কবুলিয়তি স্বাক্ষর করে দিয়েছে, তাতে "সে সে ঠিক প্ৰজা এবং ৩২৮y০ বাৎসরিক খাজনা দিতে সম্মত আছে।--তাতা লেখা আছের রতন কবিরাজ,বরিশাল জেলা হ’তে সুদক্ষ জালিয়াৎ দ্বারা দেবেশের স্বাক্ষা জাল করে এনেছে। কবুলিয়তিটি চিঠির আকারে, তাহ বজেষ্টারী না হ’লেও রমেশ চক্ৰবৰ্ত্তী ও ধীরেন্দ্ৰ দাস ঘোষ তার নীচে স্বাক্ষীস্বরূপ দস্তখৎ করে দিয়েছেন । পাড়ার লোকদের মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্রাহ্মণ সাক্ষী, তারা বলবেন কবুলিয়তি চিঠিতে দেবেশের স্বাক্ষর ঠিক । এই শেষ সাক্ষীদের বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না, কারণ পেশাদাবি জালিয়তের নামের স্বাক্ষর এমন নিপুণ ভাবে জাল ক্ল'বেছে সে তা দেখলে দেবেশ নিজেই সাদৃশ্য দেখে গোলযোগে পড়ে যেতেন। দেবেশ মাদের সাক্ষী মান্য করতে চাইলেন তারা নানারূপ ওজহাতে স্বীকার ক'<ল না, এবং কেউ কেউ ভয় দেখিয়ে বলে, “আমাদের অনিচ্ছা স* . ... যদি তুমি আমাদের সাক্ষী কর, তা হলে তার ফল ভাল হবেনা, হয় তা অামাদের কথা বিরুদ্ধ পক্ষের অনুকুল হ’য়ে পড়বে।” দেবেশ বুঝলেন জগৎ টাকার বশীভুত। তার পক্ষে কেউ নাই । Ngips Ca