পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপরের অনালো পর একটা রাখাল বল্লে, “ভাইসব, এত পায়ের শব্দ শুনে ও সে দিন তেড়ে এলানা কেন ? চ—না দেখি বেটা কি করবে ?” এই বলে। লাঠি নিয়ে ৩৪ জন সাপের কাছে গেল । সাপ গৰ্ত্তের মধ্যে ঢুকে পড়ল । “তাজ্জব ব্যাপার! কিছুষ্ট বলে না। পরদিন যখন গোখরা গৰ্ত্তের কাছে শুয়ে আছে, তখন একটা ছেলে গিয়ে লাঠি সরুর্কী: মারলে, ল্যাজের কাছটা মুচড়ে গেল, কিন্তু সাপটি কিছু করলে না, % স্ট্রের মধ্যে ঢুকে পড়ল । “এই ভাবে রোজই গোখরা মার খায়। লোকেরা বা ল:বলি করে” “বুড় হ’য়েছে যে, ওর বিষ পাতটা পড়ে গেছে।” কিন্তু মারতে কেউ কলুর ক’রে না এই ভাবে প্রচারে প্রচারে জর্জরিত হ'লে তবু সে কৃষ্ণনাম জপ করতে ছাড়ে না । এর মধ্যে একদিন নারদ ঋষি তার শিষ্যটিকে দেখতে এলেন, নারদের পায়ের শব্দ পেয়ে গৰ্ত্ত থেকে উঠে গোখরা তার পায়ের কাছে পড়ে কান্দতে লাগলে । '. “নারদ বল্লেন, “কেমন আছে, জীপ চলছে ? ? কাউকে ত আর কামড়াওনি ? গোখরা কেঁদে কেন্দে ভক্ষর ক্ষতবিক্ষত শরীরটা দেখিয়ে বলে, -“আমার ত আর ঠাকুর তোমার মত শরীর নয়, যে গোখরার কামড় খেয়েও তা সুস্থ থাকে ! এখন উপায় কি ? অামাকে কোন দিন মেরে ফেলবে ? তার ঠিক কি ?” নারদ ৰূল্লেন, “অ্যারে। যাঃ আমি কামড়াতে নিষেধ কািবছি, কিন্তু ফোস করতে ত নিসেধ করি নি। কাল সকাল থেকে যে, সি ক’রো, তাহলে আর তোমার কেউ উৎপাত করবে না ।” “নীরদ চলে গেলেন - তার পরদিন যেমনি রাখালের দল ও লোকজনেরা লাঠি নিয়ে তাকে উৎপাত করতে এসেছে, অমনি ল্যাজ আছাড়িয়ে চক্ষু দুটি নিকটাকৃতি ক’রে সাপ তাদেৱে কামড়াবার মতন わ”8