পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( , Noo ) কানাই বাবাজির সম্বন্ধে পাণ্ডাজির কাছ থেকে দেবেশ যা শুনলেন, তা এই । বলাই ও কানাই নামক বৰ্দ্ধমান জেলার একজন মধ্যবৃত্ত ব্ৰাহ্মণের দুই ছেলে ছিল। সেই ব্ৰাহ্মণও তাহার স্ত্রী প্ৰায় এক সময়েই মৃত্যু মুখে পতিত হন। তখন বলাইয়ের বয়স ২০ এবং কানাইয়ের বয়স ১৮, কানাই সেবার এলে পরীক্ষায় সৰ্বোচ্চস্থান অধিকার ক’রে সরকারী বৃত্তি পেয়েছেন। বলাই ছোট কাল থেকে সন্ন্যাসধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগী । একসঙ্গে পিতৃমাতৃহীন হ’য়ে তিনি বৃন্দাবনে যশোধামের মঠে বাধ্যানন্দ মঙ্গান্তজীর শিষ্য হন। দাদা চ’লে গেলে কানাই ও লেখা পড়ার পাঠ তুলে দিয়ে সরকারী বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে সেই মঠে চলে আসেন। এবং উভয়েই রাধানন্দ মহান্তজির অতি প্রিয় শিষ্য হ’য়ে দাঁড়ান। ইহাদের * পরে মহান্তজিৰু যে সকল শিষ্য মঠে এসে বাস করেন, যাদের মধ্যে শ্ৰীগোপাল পাড়ে বিশেষ ভাবে উল্লেখ-যোগ্য । বলাই ও কানাইয়ের পরে নাম করতে হ'লে শ্ৰীগোপাল পাড়েরই নাম ক’রতে হ’ত। রাধানন্দ গোসাই মঠের আয় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। মঠেই ব্যয় ক’রতেন। নিত্য মহোৎসব, কাঙ্গালী-ভোজন, দোল, রথ-যাত্ৰা প্ৰভৃতি বিবিধ উৎসবে মঠটি নিরস্তর আনন্দের একটা অফুরন্ত প্রবাহ জোগাত। রাধানন্দের স্বৰ্গ লাভের পর বলাই বাবাজি মহান্তের পদ প্ৰাপ্ত হ’ন, ইহার রোথ ছিল দেবমন্দিরে অর্থ ব্যয় করা। ভারতবর্ষের যেখানে যেখানে প্রাচীন মন্দিরের সংস্কারের দরকার ছ'ত, সংবাদ পাইলেই বাৰাজি অকাতরে অর্থ সাহায্য ক’রতেন। সম্প্রতি তিন বৎসর তু’ল তিনি পরলোক গমন ক’রেছেন, এখন কানাই বাবাজি গদিতে অভিষিক্ত হয়েছেন । গদিতে Y. ܘܗܶ